খাওয়ার সোডায় কিডনির শুশ্রুষা

খাওয়ার সোডায় কিডনির শুশ্রুষা

খাওয়ার সোডায় কিডনির শুশ্রুষা ; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৫ জুলাই ২০০৯ পৃষ্ঠা সংখ্যা নয়; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
কিডনির অসুখ, কিডনি নিষ্ক্রিয় হয়ে ডায়ালিসিস নিতে হবে এমন অবস্থা? বাঁচাবে খাওয়ার সোডা ওরফে বেকিং সোডা ওরফে সোডিয়াম বাই কার্বোনেট। নিয়মিত নির্ধারিত মাত্রায় সোডিয়াম বাই কার্বোনেট খাইয়ে গেলে কিডনির ভোগান্তি যেমন আটকে দেওয়া যাবে, তেমনই একটা সময় গিয়ে ডায়ালিসিস তথা ঝিল্লিস্রবণের দরকার হবে না। স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন রোগী। ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার। গবেষকদলের প্রধান তথা রয়্যাল লন্ডন হসপিটালের রেনাল মেডিসিনের প্রফেসর ডাঃ মাগদি ইয়াকুবু জানিয়েছেন, ‘আমরা একরকম অবাকই হয়ে গিয়েছি যে বেকিং সোডায় কিডনির রোগভোগ এভাবে সামাল  দেওয়া যায়।

কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের ভোগান্তি হয় মূলত বাই কার্বোনেট খামতির কারণে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলে মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস। ধারাবাহিক কিডনির রোগ এবং মেটাবলিক অ্যাসিডোসিসের গুরুতর ভোগান্তি চলছিল যাঁদের এরকম ১৩৪ জনের উপর প্রয়োগ পরীক্ষা চালিয়ে দেখলাম, দারুণ ফল। আমরা এক বছরের একটু বেশি সময় ধরে প্রয়োগ করে দেখছি কিডনির রোগ ভোগান্তির জেরে যে হারে ক্ষতি হচ্ছিল সেই ক্ষতি আটকানো যাচ্ছে। দুই তৃতীয়াংশ হারে শ্লথ করে দেওয়া যাচ্ছে ক্ষতির গতি। যাঁদের কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল, সেই নষ্ট হওয়া আটকানো যাচ্ছে। ডায়ালিসিস পর্বে পৌঁছোনোর আগেই ক্ষতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে।’ জার্নাল অফ দি আমেরিকান সোসাইটি অফ নেফ্রোলজি-তে ডাঃ মাগদি ইয়াকুবু জানিয়েছেন, তাঁরা সোডিয়াম কার্বোনেট খাইয়ে গেছেন অল্প মাত্রায়। প্রতিদিন এক মাত্রার ট্যাবলেট করে খাইয়েছেন। কিডনি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে যাঁদের, তাঁদের জন্যও দারুণ শুশ্রুষাকারী সাব্যস্ত হয়েছে সোডিয়াম বাই কার্বোনেট। তবে এই সোডিয়াম বাই কার্বোনেট সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করবেন, তা ঠিক করতে হবে রোগীর চিকিৎসককেই। আর চিকিৎসক যদি মনে করেন এইসব গবেষণার সাথে যুক্ত অগ্রপথিক চিকিৎসক বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন।

কোলেস্টেরল হাই?
কোলেস্টেরল হাই? থাইরয়েড হরমোন লেভেল কী স্তরে আছে, রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চেক করিয়ে নিন। বিশেষত মাঝবয়সি মহিলাদের জন্য এই পরামর্শ দিচ্ছেন ব্রিটিশ থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ডাঃ অমিত এলাহাবাদিয়া। নামি এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ অমিত। শেফিল্ডের রয়্যাল হ্যাল্লামশায়ার হসপিটালের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর বক্তব্য, থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন নিঃসরণ কমে গেলে অর্থাৎ আন্ডার অ্যাকটিভ থাইরয়েডের কারণেও কোলেস্টেরল লেভেল হাই হতে থাকে। থাইরক্সিন ওষুধের শুশ্রুষায় থাইরয়েড হরমোনের খামতি মেটানো যায়। তাতে কোলেস্টেরল লেভেল নীচে নেমে আসে। থাইরয়েড হরমোনের খামতি হলে ক্লান্তি জড়িয়ে ধরে, ওজন বাড়তে থাকে। শরীরের এই অবস্থাকে বলে হাইপোথাইরইডিজম।


দেরি করলেই..
রিউমাটইড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা শুরু করতে হবে উপসর্গ শুরু হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই। এ অসুখ পুরোপুরি সারে না। কিন্তু চিকিৎসা শুরু করতে যদি তিন মাসের বেশি দেরি হয়, তাহলে ভোগান্তি বেড়েই চলে। সেই দুঃসহ ভোগান্তি ভুগতে হয় জীবনভর। তিন মাসের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে এর বাড়াবাড়ি আটকানো যায়। উল্লেখ্য, রিউমাটিজম হল বাত, বাতজ্বর, গাঁট, পেশি ইত্যাদির প্রদাহ। আর রিউমাটইড আর্থ্রাইটিস হল অজ্ঞাতকারণ ক্রমবর্ধনশীল গ্রন্থিপ্রদাহ, যাকে ক্রমাগত বেড়ে চলা গাঁট ফোলানো বাতও বলা যায়।

Join our mailing list Never miss an update