টনসিলের সমস্যা অবহেলা করবেন না

টনসিলের সমস্যা অবহেলা করবেন না

টনসিলের সমস্যা অবহেলা করবেন না; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৬ জানুয়ারি ২০০২; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
নতুন বছরের শুরুতে শীত জাঁকিয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গে। অনেকেরই এসময় একটা বড় সমস্যা টনসিলে ব্যথা। এই সমস্যা এবং তার প্রতিকার নিয়ে লিখেছেন -ডাঃ পার্থপ্রতিম
টনসিল হলো আমাদের মুখের ভেতরে থাকা লসিকা গ্রন্থি। মোটমুটিভাবে সব স্তন্যপায়ী প্রাণীদের টনসিল থাকে। তবে টনসিল কিন্তু একজোড়া নয়, তিনজোড়া। গলার মধ্যে, নাকের ভেতর ও জিভের নিচে টনসিল থাকে। এরা আবার লসিকা নালী দিয়ে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। নাকের ভেতরে থাকা টনসিলকে বলে ফ্যারিনঞ্জিয়াল টনসিল। এর ডাকনাম অ্যাডিনয়েড (Adenoids)। অ্যাডিনয়েড বড় হলে রোগীর নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। রাতের বেলায় মাঝে মাঝে নাক বন্ধ হয়ে আসে, তখন সে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। পরবর্তীকালে আরো বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়।

    জিভের নিচে থাকা টনসিলের নাম লিংগুয়াল টনসিল (Lingual tonsil)। তবে এতে সাধারণভাবে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি ফুলে যায় ও ব্যথা হয়।
    গলার ভেতরে ফ্যারিংসের দু’পাশে থাকা টনসিলকে আমরা সাধারণভাবে টনসিল বলি। অর্থাৎ সাধারণভাবে টনসিল বলতে গলার ভেতর জিভের গোড়ায় থাকা ডিম্বাকৃতি লসিকা গ্রন্থি দু’টিকেই বুঝি। এর ডাক্তারি নাম প্যালাটাইন টনসিল (Palantine tonsil)।
    সাধারণত জন্মের পর থেকে টনসিলের আকার ধীরে ধীরে বাড়তে আরম্ভ করে। ৬-৭ বছর বয়সে এটি সবচেয়ে বড় হয়, তারপর আস্তে আস্তে ছোট হতে থাকে। বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ ১২-১৩ বছর বয়সে এটি একদম ছোট হয়ে যায়।
 

Join our mailing list Never miss an update