কাঁঠাল খান

কাঁঠাল খান

কাঁঠাল খান; -ডাঃ পার্থপ্রতিম।; ২৩ জুলাই ২০০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
পাকা কাঁঠাল খান, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে। তলপেটে ব্যথা? পাকা কাঁঠালের কোয়ায় সেই ব্যথার উপশম হবে। যাঁরা এমন ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য পাকা কাঁঠাল খুবই ভালো। পাকস্থলিতে গ্যাস তৈরি করে পাকা কাঁঠাল। সেই গ্যাস খিদে কমিয়ে দেয়। যাঁরা অর্শে ভুগছেন, তাঁদের জন্যও পাকা কাঁঠাল উপকারী। এইচ আই ভি ওয়ানে (এইডসে) আক্রান্ত যাঁরা, তাঁদের দরকার কাঁঠালের বিচিতে থাকা প্রোটিন জ্যাকালিন, যা কোষ থেকে কোষে এইডস জীবাণুর ছড়িয়ে পড়ার পথে প্রতিরোধ গড়ে। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরের যে সব ক্ষতি হয়, তার অনেকটাই সামাল দিতে পারে পাকা কাঁঠাল। পাকা কাঁঠালের জ্যাম, জেলি, আইসক্রিম এমনকী চিপস, পাপড়ও খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালের প্রতি ১০০ গ্রাম ভোজ্য অংশে প্রোটিন থাকে ১.৩ থেকে ১.৯ গ্রাম। ফ্যাট ০.১ গ্রাম থেকে ০.৩ গ্রাম। কার্বেহাইড্রেট তথা শর্করার পরিমাণ ১৮.৯ গ্রাম থেকে ২৫.৪ গ্রাম। খাদ্য আঁশ থাকে ১ গ্রাম থেকে ১.১ গ্রাম। ক্যালসিয়াম মেলে ২২ মিলিগ্রাম।

ফসফরাস ৩৮ মিলিগ্রাম। আয়রন ০.৫ গ্রাম। সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম। পটাসিয়াম ৪০৭ মিলিগ্রাম। ভিটামিন এ ৫৪০ আর্ন্তজাতিক ইউনিট। থিয়ামিন ০.০৩ মিলিগ্রাম। নিয়াসিন ৪ মিলিগ্রাম। অ্যাসকরবিক অ্যাসিড থাকে ৮ থেকে ১০ মিলিগ্রাম। কাঁঠালের তাজা বিচিতে / বীজে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন থাকে ৬.৬ গ্রাম। ফ্যাট ০.৪ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট তথা শর্করা ৩৮.৪ গ্রাম। খাদ্য আঁশ দেড় গ্রাম। ক্যালসিয়াম ০.০৫ থেকে ০.৫৫ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ০.১৩ থেকে ০.২৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.০০২ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম। থাকে সালফার, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম, ফ্লোরিন। পাকা কাঠালের যেমন অনেক গুণ, তেমনই কাঁচারও। এঁচড়ে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন,  ভিটামিন সি রাইবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন। কাঁঠালের বীজে/বিচিতে মেলে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যারোটিন, থিয়ামিন ভিটামিন সি, রাইবোফ্ল্যাভিন। কাঁঠাল পাতা পুড়িয়ে গুঁড়ো করে স্মল পক্সের দাগ দূর করা যায়।  

Join our mailing list Never miss an update