হাসলেই হল!

হাসলেই হল!

হাসলেই হল!; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
কোনো কারণে যদি হি হি. খিল খিল, ফিক ফিক করে হেসে ওঠেন, তাহলেই হল, শরীরটা সেখানেই ঢলে পড়ে। নিঃসাড় তথা অচেতন হয়ে পড়ে থাকবে শরীর। দু-মিনিটের মতো। ফের আপনাআপনিই ঠিক হয়ে যাবে। অচেতন হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় চোখে কিছু দেখতে পান না ঠিকই, কিন্তু চারপাশে কী ঘটতে চলেছে, তা শুনতে পান পরিষ্কার। মাংসপেশির দুর্বলতার কারণে এমন হয়, যেটা হয়েছে এই মেয়ে কেন আন্ডারউডের। ২০ বছর বয়সি কেন যদি জোরে হেসে ওঠেন, তাহলে ওঁর মুখের মাংসপেশিগুলো ঢিলে হয়ে আসতে থাকে, এরপর এলিয়ে পড়ে শরীরটা। একে বলে ক্যাটাপ্লেক্সি।
    লিসেস্টারশায়ারের মেয়ে কেনের এমনও দিন গেছে, দিনে চল্লিশ বারেরও বেশি এভাবে এলিয়ে পড়েছেন। এখন চিকিৎসার পর এলিয়ে পড়াটা অনেক কমেছে। লিসেস্টার জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসক অ্যানড্রু হল জানিয়েছেন, যাঁরা নারকোলেপ্সিতে ভোগেন, তাঁদের এরকম হয়। হওয়ার কারণ, ব্রেনের যে অংশ মানুষকে জাগিয়ে রাখে এবং ঘুম পাড়ায় সেই অংশের ত্রুটি। ক্যাটাপ্লেক্সি-র আক্রমণের জেরে কথা জড়িয়ে যায়, চোখে দেখা যায় না, কিন্তু মানুষটি বর্হিজগত সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন থাকেন। কারও ক্ষেত্রে উল্লাসের কারণে ক্যাটাপ্লেক্সি হয়, কারও ক্ষেত্রে রাগের সময় হয়, কারও ক্ষেত্রে ভয় পেলে হয়, কারও ক্ষেত্রে অবাক হওয়ার মতো ঘটনা শুনলে হয়, কারও ক্ষেত্রে লজ্জা পেলে/ অপ্রস্তুত হলে/ ঘাবড়ে গেলেও হয়।  ছবি:- প্রতীকি

কবর খুঁড়ে
বার্ড ফ্লু এবং স্প্যানিশ ফ্লু-র ভ্যাকসিন তথা প্রতিষেধক তৈরির আশায় ৮৯ বছর বাদে কবর থেকে তুলে আনা হল স্যার মার্ক সাইকেসের কফিন। বিশ্ববরেণ্য ভাইরাসবিদ প্রফেসর জন অক্সফোর্ডের সহযোগীরা মার্কের দেহাবশেষ থেকে কিছু কিছু কোষকলার নমুনা নিলেন। ফের ইস্ট ইয়র্কশায়ারের কবরে পাঠিয়ে দেওয়া হল কফিনটি। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ফৌজের জেনারল ও সাংসদ, কূটনীতিক মার্ক স্প্যানিশ ফ্লু-তে মারা গিয়েছিলেন প্যারিসের এক হোটেলে। ১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ভাইরাসবিদদের ধারণা, মার্কের দেহাবশেষ থেকে সেই ভাইরাস মিলবে, যার আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্বে। সে সময় যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছিল ৯০ লাখ মানুষের। আর স্প্যানিশ ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫ কোটির। ব্রেকফাস্টের  সময় যে মানুষটি সুস্থ ছিলেন, ডিনারের সময় সেই মানুষটিই মরে যেতেন। এরকমই মারাত্মক ছিল সেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপট। আবার ফ্লু মহামারি হতে পারে, এই আশঙ্কায় ব্রিটেন উঠে পড়ে লেগেছে প্রতিষেধক তৈরিতে।

 হেভিওয়েট
৬ কিলো ৮৩০ গ্রাম ওজন নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল এই চতুর্থ সন্তান। ৭ মাস বয়স পূর্ণ হতেই এর ওজন দাঁড়িয়েছে ১৪ কিলো ৫০০ গ্রাম। ব্রিটেনের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার-পোনটিফ্র্যাক্টে বাড়ি এই ছেলের। নাম: চার্লি মানটন। মা স্তেফানি মানটন, শিক্ষিকা। বয়স ৪১। বাবা রিচার্ড রেলটন (৪০) স্টক কন্ট্রোল ম্যানেজার। ১৯৯২ সালে প্রথম সন্তান অ্যাম্বার ভূমিষ্ঠ হয়েছিল ৪ কিলো ৮২০ গ্রাম ওজন নিয়ে। এর তিন বছর আগে মেয়ে বেথের জন্ম হয় ৪ কিলো ৮৪৭ গ্রাম ওজন নিয়ে। ৪ বছর বাদে জন্ম নেয় আরেক ছেলে সাম। জন্মের সময় ওজন ছিল ৫ কিলো ২৪৪ গ্রাম।

১১১ বছরে বাবা!
ডাইনোসরদের শেষ বংশধর। তাদেরই একজন বাবা হতে চলেছে ১১১ বছর বয়সে। গত ৩৮ বছরে এই প্রথমবার বাবা হতে চলেছে টিকটিকি সদৃশ সরীসৃপ গোত্রের মিউজিয়ামে বন্দী এক তুয়াতারা। এর নাম: হেনরি। সাড়ে বাইশ কোটি বছর আগে ডাইনোসরদের সঙ্গে এই তুয়াতারারা পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়েছিল বলে প্রাণীবিজ্ঞানীদের দাবি। হেনরি নামের তুয়াতারা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের সাউথল্যান্ড মিউজিয়ামে। ১৯৭০ থেকে এই মিউজিয়ামে আছে সে। এই মিউজিয়ামে থাকাকালীন ৩৮ বছর যৌন মিলনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি হেনরি। এ বছরের শুরুতে হেনরির পুরুষাঙ্গ থেকে টিউমার কেটে বাদ দেওয়ার পরই সে মিলড্রেড নামে এক ৭০-৮০ বছর বয়সি সঙ্গিনীর সঙ্গে মিলিত হয়। জুলাইয়ে ১২ টি ডিম পাড়ে মিলড্রেড।
    এখন তিনটি মেয়ে তুয়াতারার সঙ্গে থাকছে হেনরি। আগামী মার্চে ফের ডিম, ডিম ফুটে বাচ্চার আশা করছেন কিউরেটর লিন্ডসে হেজলি।

Join our mailing list Never miss an update