ফ্রিজে গরম গরম

ফ্রিজে গরম গরম

ফ্রিজে গরম গরম; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৫ মার্চ ২০০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
ফ্রিজ থেকে গরম গরম খাবার। সেরকম ফ্রিজও বের করে ফেলেছে জাপানের শার্প কোম্পানি। ফ্রিজের মধ্যে ২০ লিটারের মতো জায়গা খাবার গরম রাখার জন্য। রাতে দেরিতে ফেরেন কর্তা, খাবার গরম থাকবে। মায়েরা স্কুল ফেরতা শিশুদের গরম খাবার হাতে তুলে দিতে পারেন না, তাঁদের স্ন্যাকস থেকে শুরু করে দুধ যা যা গরম রাখা দরকার, সব গরম থাকবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন একটু রাতে হলেও সপরিবারে গরম গরম খাবার খেতে চান যারা, তাদের কথাও ভাবা হয়েছে। ভেবেই এই ফ্রিজ তৈরি করেছেন ওরা। যে অংশে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে  খাবার গরম থাকবে, তার পাশেই বরফ তৈরির জায়গা। ৪৫৫ লিটারের এই ফ্রিজের দাম পড়েছে সোয়া লাখ টাকারও বেশি। ১১ মার্চ এই ফ্রিজ বাজারে ছাড়ছে শার্প।
 
চুম্বন নজির
টানা একত্রিশ ঘন্টা ধরে চার ওষ্ঠ নিবিষ্ট হয়ে রইল। এভাবে প্রকাশ্যে চুম্বনের রেকর্ড গড়লেন দুই জার্মান যুবক-যুবতী। মাথিয়াস ব্রান্ড স্টেট্টার (২১) এবং পামেলা স্টার্ন (১৯)। ওঁরা এই নজির গড়েছেন জার্মানির নুরেমবার্গের কাছে থ্যালমাইসিগে। গিনেস বুকে নাম ওঠাতেই এই চুম্বনক্রীড়া। আগে যারা নজির গড়েছিলেন, সেই মার্কিন দম্পতিকে কিং এবং কুইন উপাধি দিয়েছিল জার্মানির এই বাভারিয়ান কিসিং চ্যাম্পিয়নশিপ। ওরা এক নাগাড়ে ৩০ ঘন্টা ৫৯ মিনিট ২৭ সেকেন্ড ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে ছিলেন।

সবচেয়ে বয়স্ক
বাইশ বছর ধরে বেঁচে! কুকুর। জার্মান স্পিজ। নামঃ রেনে। রয়েছে লখনউয়ের ত্রিবেণি নগরে। রেনের প্রভু ও প্রভু পত্নীর নাম যথাক্রমে এম. আর. রাজপুত এবং কৌশল রাজপুত। রেনের বয়স যখন এগারো, তখন থেকেই তার চিকিৎসা করে আসছেন রাজেশ ভার্সনি। বাদশাবাগে স্টেট ভেটিরিনারি পলিক্লিনিকের ডাক্তার তিনি। পশুচিকিৎসক। কুড়ি বছর ধরে এই পেশায় রয়েছেন, কোনো কুকুর বাইশ বছর ধরে বেঁচে আছে ? দেখা তো দূরের কথা, শোনেনওনি। একটি কুকুরের কথা মনে পড়ছে ডাঃ ভার্সনির, সেটির বয়স ছিল ১৮। তবে আর বেশিদিন বাঁচেনি।
    বেশি তেলচর্বিওয়ালা খাবার দেওয়া হয় না রেনেকে। সেই ১৯৮৩ সালের জানুয়ারিতে ফৌজের এক অফিসার বন্ধুর কাছ থেকে রেনেকে নিয়েছিলেন। রেনে তখন থেকেই দুধ, ডালিয়া আর শাকসবজি খেতে অভ্যস্ত। ঝালমশলাও চলে না রেনের লাঞ্চে, ডিনারে। প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ভিটামিন যাতে খাওয়ার থেকেই পেতে পারে, বরাবর সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। খাওয়ার মাধ্যমে না মিললে, বিকল্পভাবে জোগান দিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, প্রতিষেধক নেওয়ানোর ক্ষেত্রে কোনোরকম গাফিলতি হয়নি। তবে রেনের চেয়েও বেশি বয়সি একজন আছে। গিনেস বুকে সবচেয়ে বেশি বয়সি হিসেবে তার নামও উঠে রয়েছে, সে ভেগান কোলি। বয়স ২৭। জাতে এটি বিচ। এর প্রভু সমারসেট, ব্রিগওয়াটারের অ্যান হেরিটেজের মালিক। ব্রিটেনে একটি কুকুর অবশ্য আরো বেশিদিন, ২৯ বছর বেঁচেছিল। সে ছিল পেডিগ্রি প্যাপিল্লোনা। সেটির নাম ছিল ফ্রেড। ২০০০ সালে মারা যায়। ফ্রেডের থেকেও কয়েক মাস বেশি বেঁচেছিল যে, সে ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্যাটল ডগ। তবে ডাঃ রাজেশ ভার্সনির আশা, রেনে এখনো যেমন প্রাণচঞ্চল, যখন যেভাবে ডাকা হয়, যে তৎপরতায় সাড়া দেয়, ইশারা-ইঙ্গিত যেমন বোঝে তাতে মনে হয় রেনে আরো অনেকদিন বাঁচবে। ১১ বা ১২ বছর বয়সেই যেখানে অধিকাংশ কুকুর মারা যায়, সেখানে রেনে দৃষ্টান্ত তো বটেই। আর রেনের ঘ্রাণশক্তি ? পুরু করে মাখন মাখানো পাউরুটির গন্ধ পেলেই হল, ছুটে আসবে। বাটার পাউরুটি খুব ভালবাসে রেনে। সর্বোপরি, রেনে নিরামিষাশি।   

Join our mailing list Never miss an update