পেস্তা খেলে;

পেস্তা খেলে;

পেস্তা খেলে; -ডাঃ পার্থপ্রতিম।১৬ জানুয়ারি ২০১০; পৃষ্ঠা- দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
পেস্তা খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ হয়। যখন বেশি কার্বোহাইড্রেট খাচ্ছেন, তখন কয়েকটা করে পেস্তা খান। পেস্তার প্রভাবে ধীরে ধীরে কার্বোহাইড্রেট শোষিত হয়। ফলে রক্ত সুগার চড়চড়  করে বাড়তে পারে না। ইউনির্ভাসিটি অফ টরন্টোর তরফে জানানো হয়েছে, গবেষকরা দেখেছেন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে পেস্তা। প্রধান গবেষক ডাঃ সিরিল কেন্ডাল জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, পেস্তা দারুণভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে। খিদে চাগিয়ে দেয় যে হরমোন, পেস্তা সেই হরমোনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত পেস্তা খেলে দীর্ঘদিন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেস্তায় থাকে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। সেই ভালো কোলেস্টেরল হার্টকে সুরক্ষা দেয়।

উধাও কফকষ্ট
গলে মে খুশখুশ? নাক বন্ধ হয়ে আসছে? আদা-লেবু- গোলমরিচ দিয়ে চা খান। খুব কাজে দেয়। এক ইঞ্চি পরিমাণ আদা থেঁতো করে বড়ো এক গ্লাস গরম চায়ের জলে মানে লিকারে ফেলুন। ২ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন তাতে। এক চুটকি গোলমরিচের গুঁড়ো দিন। ২ চা চামচ মধু। ধোঁয়া ওঠা অবস্থায় নাক দিয়ে ধোঁয়া টানুন। তারপর যেভাবে চা খেতে থাকেন সেভাবে পুরোটা খান। ঠান্ডা বসে যাওয়া এবং কফকষ্ট থেকে নিমেষেই রেহাই মিলবে। লন্ডনের দি পিপলস ফার্মাসি সাইটে এই দাওয়াইকে অনেকেই রিফ্রেশিং অ্যান্ড স্পাইশি টনিক হিসেবে আভিহিত করেছেন।

শ্যাম্পেনে শুশ্রুষা
দিনে দু-গ্লাস করে শ্যাম্পেন হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শ্যাম্পেন খেলে রক্ত সংবহন তন্ত্র উজ্জীবিত হয়, রক্ত প্রবাহের গতি বাড়ে। ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং এর গবেষকরা জানিয়েছেন। সায়েন্স ডেইলি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছেন, শ্যাম্পেনের প্রভাবে শিরা, ধমনিতে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্টের রোগভোগ এবং স্ট্রোক হওয়া আটকায়। তবে এই পরামর্শ শুধু তাঁদের জন্য, যাঁরা ওষুধের মতো নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি শ্যাম্পেন পান করতে যাবেন না। কারণ, শ্যাম্পেন বা অন্য যে কোনো ধরনের অ্যালকোহলই মাত্রাধিক্যে স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে। ঘুমের ওষুধ একটা করে খেতে বললে, দুটো বা তিনটে যেমন খেতে নেই, তেমনই অ্যালকোহলকে ওষুধ হিসেবেই খেতে হয়। মাত্রাতিরিক্ত কখনই নয়। লাল, আঙুর, সাদা আঙ্গুর থেকে তৈরি শ্যাম্পেনে পলিফেনল থাকে। এই পলিফেনল ধমনিতে গিয়ে রক্তে শোষিত হয়, এভাবেই হার্ট শুশ্রুষা পায়, স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা দূর হয়। প্রধান গবেষক ডাঃ জেরেমাই স্পেনসার জানিয়েছেন, ‘রেড ওয়াইনের মতোই উপকারী শ্যাম্পেন।
গর্ভাবস্থায়
গর্ভাবস্থায় বেকন এবং ডিম খেলে ভ্রুণের তথা গর্ভস্থ সন্তানের মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস তথা স্মৃতিধারণি অংশটি উন্নত হয়। ফ্যাসেব জার্নাল-এ জানিয়েছেন বিজ্ঞানী (ড) স্টিফেন জিসেল। বেকন, ডিম এবং কোলিন রয়েছে এমন সব খাবার দাবার গর্ভাবস্থায় অনাগত সন্তানের ব্রেনকে সমৃদ্ধ করে। উল্লেখ্য, বেকন হল লবণে জারিত শুয়োরের মাংস।      

Join our mailing list Never miss an update