ছিল মেয়ে হল ছেলে; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৬ জুন ২০১০ পৃষ্ঠা- নয়; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
জন্মে ছিল মেয়ে হয়ে। কিন্তু জন্মানোর ৭ মাস পর থেকে দেখা যেতে লাগল, শিশুর জননাঙ্গে ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে চলেছে। বয়স যখন ৫ পেরিয়ে গেছে, তখন রায়বেরিলির সেই মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে দৌড়লেন বাবা-মা। শেষমেশ মেয়েটিকে পাঠানো হয় লখনউয়ের ছত্রপতি শাহুজি মহারাজ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে।
শিশু শল্যবিভাগের প্রফেসর (ডাঃ) এস এন কুরিল জানাচ্ছেন, আমরা প্রথমে মেয়েটির হরমোন প্রোফাইল এবং কারিওটাইপিং করালাম। তাতে বুঝতে পারলাম মেয়েটি আসলে ছেলেই। ওর মেয়ে জননাঙ্গ যথার্থ বিকশিত হয় নি। অন্যদিকে, ওর শরীরে পুরুষাঙ্গও রয়েছে।
এরপর তিন পর্যায়ের অস্ত্রোপ্রচার চালানো হয়। প্রথমে পুরুষাঙ্গটির যথাযথ অবস্থান নিশ্চিত করা এবং সেটির স্বাভাবিক বৃদ্ধি যাতে ঘটে, তার জন্য অস্ত্রোপ্রচার করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুরুষাঙ্গটির আকৃতি ঠিকঠাক করে দেওয়ার জন্য অস্ত্রোপ্রচার করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ের অস্ত্রোপ্রচারে পুরুষাঙ্গের মধ্যে প্রস্রাব-নলি তৈরি করা হয় এবং অবিবর্ধিত মহিলা যৌনাঙ্গকে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। ডাঃ কুরিল জানাচ্ছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় উভলিঙ্গের উপস্থিতিকে ইন্টারসেক্স ডিজঅর্ডার বলে। যথাসময়ে চিকিৎসিত হলে এই ধরনের উভলিঙ্গধারীদের ক্লীব বা খোজা বা হিজড়ে বা য়িউনাক হয়ে জীবন কাটাতে হয় না। গর্ভে এ ধরনের অবিবর্ধিত উভলিঙ্গ অবস্থা তৈরি হয়ে যাওয়ার পিছনে মূলত দায়ী থাকে হরমোনের ভারসাম্যে গন্ডগোল। তাছাড়া শরীরের জন্য বিষাক্ত এমন সব টক্সিক অর্থাৎ রোগবিষ থাকা খাবার বা ওষুধ খাওয়ার জেরেও য়িউনাক তথা হিজড়ে অবস্থা হয়। মা যখন বাচ্চার সংশ্লিষ্ট অঙ্গের পরিবর্তন বুঝতে পারছেন, তখনই উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
পাউডার নয়
জননাঙ্গ বা তার কাছাকাছি এলাকায় দশকের পর দশক ধরে ট্যালকম পাউডার দিতে অভ্যস্ত যে মহিলারা তাঁরা এই অভ্যেস ত্যাগ করুন। কারণ, নিয়মিত সপ্তাহে একদিনও যদি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা হয়,তাতে গর্ভাশয়ের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা ২৪ শতাংশ বেড়ে যায়। যে সমস্ত মহিলারা ঋতুজরায় পৌঁছে গেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই বেশি বিপদ। উম্ব/ এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারে ভোগার আশঙ্কা, সবার ক্ষেত্রেই। বস্টনের হার্ভাড মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন জার্নাল ক্যানসার এপিডেমিওলজি, বায়োমেকারস অ্যান্ড প্রিভেনশন-এ।