অজীর্ণকে হারান; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২০ মার্চ ২০১০; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
অজীর্ণ অর্থাৎ বদহজম তথা অগ্নিমান্দ্যে ধারাবাহিক ভোগান্তির মোকাবিলায় আলুর রস বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খান। প্রতিদিন সকালে প্রাতরাশের আধঘন্টা আগে ১০০ মিলিলিটার আলুর রস এবং প্রতিদিন রাতে শয্যাগত হওয়ার আগে একই পরিমাণ আলুর রস এবং প্রতিদিন রাতে শয্যাগত হওয়ার আগে একই পরিমাণ আলুর রস খেয়ে ঘুমোতে যান। এক সপ্তাহ খেলেই ফল পাবেন।
জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ সপ্তাহ বা তারও বেশিদিন ধরে অজীর্ণ রোগে ভোগা ৪০ জনের উপর আলুর রসে উপসর্গ উপশমের প্রভাব পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা গেছে, ২০ শতাংশ অজীর্ণ রোগী পুরোপুরি নিস্কৃতি পেয়েছেন। প্রায় ৫০ শতাংশ অনেকটাই আরাম পেয়েছেন। দুই তৃতীয়াংশ অল্প হলেও উপকার পেয়েছেন। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, অ্যালকালয়েড নামে যে যৌগটি আলুতে থাকে, সেটাই অ্যাসিডের মোকাবিলা করে।
পিলে আয়ু বাড়ে
জীবনের নানা পর্বে যাঁরা জন্ম নিরোধক পিল খেয়েছেন বা এখনও খাচ্ছেন তাঁদের হার্টের রোগভোগ বা ক্যানসার বা অন্য কোনো রোগে আগেভাগে আচমকা মৃত্যুর আশঙ্কা খুবই কম। উলটে বেশিদিন বাঁচেন এঁরা। ৪৬ হাজার ব্রিটিশ মহিলার উপর ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জরিপ চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। উল্লেখ্য, লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অফ জেনারেল ফিজিসিয়ান্সের তরফে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, যখন পিল খাওয়া চলছে, সেই পর্বে কারও কারও মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, স্তন/জরায়ুমুখে ক্যানসার এসব হওয়ার ক্ষীণ আশঙ্কা থাকলেও পিল খাওয়ায় লাভই বেশি। পিল খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার ১০ বছরের মধ্যেই এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দূর হয়ে যায়।