মাইগ্রেনে বোটোক্স; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২১ জানুয়ারি ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
মাইগ্রেনে খুব কষ্ট পাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের উপর বটুলিনাম টক্সিন টাইপ এ ইঞ্জেকশন ব্যবহার হচ্ছে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে। স্নায়ুর এই ভয়ানক রোগের ভোগান্তি থেকে স্বস্তি দিচ্ছে, বোটোক্সের মূল উপাদান। ইঞ্জেকশনের দাম পড়ছে পনেরো হাজার টাকা। একবার ইঞ্জেকশন নিলে ৬ মাস নিশ্চিন্ত। ভারতীয় কোম্পানিগুলি এই ওষুধ তৈরি করতে শুরু করলে দাম অনেকটাই কমবে।
কেন ম্যালেরিয়া
মহাদেব প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাজির। বলছেন, পুরুলিয়ার টেররিস্টদের দাপাদাপি কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। একদল সন্ত্রাসবাদীদের খতম করতে না করতেই আরেক দল সন্ত্রাসবাদী হানা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তা বাবা ভোলেনাথ আমি কি ধরনের সাহায্য করতে পারি? মহাদেব বললেন, আমার সোলফ্যাক চাই। প্রধানমন্ত্রী বলে উঠলেন, হোয়াট? মহাদেব ফের গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলেন, জার্মানির তৈরি সোলফ্যাক হল, ফাস্ট অ্যাকটিং নিউ জেনারেশন বুলেট। এটা ছাড়া পুরুলিয়ার টেররিস্টদের কিছুতেই দমন করা যাবে না। মহাদেব অবশ্য পাশাপাশি এ কথাও জানিয়ে রাখলেন, সোলফ্যাক যদি একান্তই না পাওয়া যায়, তাহলে আলফা-সাইপারমেথরিন, সাইপারমেথরিন, ডেলটামেথরিন, ইটোফেনপ্রক্স কিংবা ল্যাম্বডা সাইহ্যালোথ্রিন এসবের যে কোনোটি হলেও চলবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে সেলফ্যাক-ই ভালো। বাবা ভোলেনাথ বলে উঠলেন, মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, আপনি ঠিকই ধরেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সোলফ্যাকই দি বেস্ট। বছরে দু-বার ব্যবহার হলেই পুরুলিয়ার সন্ত্রাসবাদীরা হাওয়া হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, সেরা জিনিসই সাপ্লাই করতে চাই। তা সোলফ্যাক-এর দাম কেমন? বাবা ভোলেনাথ জানালেন, চার হাজার টাকা কিলো। প্রধানমন্ত্রীর জবাব, দামটা আর একবার উচ্চারণ করলে হয়তো হার্ট ফেল করব। এরকম কিছু লেখার মাধ্যমে অযোধ্যা পাহাড়ের টেররিস্ট তথা নকশালবাড়ির মশা এবং ম্যালেরিয়া দমনে আমরা কেন ব্যর্থ, তা নগ্নভাবে তুলে ধরেছেন মশা বিশেষজ্ঞ ড. দেবাশিস বিশ্বাস। দি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের উদ্যোগে বেরিয়েছে তাঁর ইংরেজি বই দি স্টিং। বিশদে জানতে ফোন : ৯৫-৩৩-২৪৯৬০৩১২ অথবা ৯৮৩০৭ ৭৭৬৬৪
বাঙালি ৩ নম্বরে
পর্যটনে বাঙালি, গুজরাটিদের পেছনে ফেলে দিয়েছে কন্নড়িগরা। দেশের এ প্রান্ত সে প্রান্ত ঘুরে বেড়ানোর তালিকায় কর্ণাটকের ভ্রমণার্থীরা এক নম্বরে। সম্প্রতি ২০০২ সালে পরিসংখ্যান মিলেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সে বছর কর্ণাটকের ৫১ লাখ মানুষ বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। তালিকায় তামিলনাড়– দুই নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গ আর মহারাষ্ট্রের ছিল ২৯ লাখ করে। গুজরাটের ২৮ লাখ। ধর্মস্থানেই গিয়েছেন সবচেয়ে বেশি পর্যটক। সেই তালিকায় এক নম্বরে তামিলনাড়–র তিরুপতি মন্দির। এখানে এসেছিলেন ১ কোটি ১৪ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে পুরী। ৮৪ লাখ। বৈষ্ণোদেবী ৮২ লাখ। দার্জিলিং ২৮ লাখ। আগ্রা ১৮ লাখ। সে বছরে বেরিয়েছিলেন ১১ কোটি মানুষ। গোয়াতে গিয়েছিলেন ১৬ লাখ। প্রথম কুড়ির তালিকায় আসেনি গোয়া। প্রথম দশের মধ্যে ৮টিই ধর্মস্থান। ধর্মস্থানে পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ হাড়ে। উল্লেখ্য, ২২ ডিসেম্বর তিরূপতি তিরুমালা দেবস্থানমে হিরে বসানো এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা দামের স্বর্ণচূড়া দান করেছেন একজন।