নাকে টানলেই; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৯ মে ২০১০পৃষ্টা দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ -এ প্রকাশিত
হাঁপানির রোগীরা যেভাবে ইনহেলারে করে ওষুধ টানেন নাক দিয়ে, সেভাবে অ্যাপোমরফিন ওষুধের গুঁড়ো টানতে হবে। ব্যস, ১০ মিনিটের মধ্যেই দৃঢ়তা পাবে পুরষাঙ্গ। ৬০০ জনের উপর পরীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশই অ্যাপোমরফিন এর শুশ্রুষায় ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠছেন। জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন এ অ্যাপোমরফিন এর শুশ্রুষায় ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠছেন। জার্নাল অফ সেক্সুয়াল মেডিসিন এ অ্যাপোমরফিন দিয়ে ইরেকটাইল ডিসফাংকশন তথা উত্থানক্ষমতা লোপ পাওয়ার ত্রুটি দূর করা যায়। ওষুধটি মস্তিষ্কে গিয়ে কাজ করে। এখনও ট্রায়াল চলছে ওষুধটির। আসলে পার্কিনসন রোগের শুশ্রুষার জন্য এই ওষুধটি তৈরি করা হয়েছিল। পরে দেখা যায় অ্যাপোমরফিন পুরুষাঙ্গের যৌন মিলনী দৃঢ়তা বাড়াচ্ছে। হলে, কারও কারও ক্ষেত্রে ভায়াগ্রা, সিয়ালিস, লেভিট্রা এই ধরনের ওষুধে কাজ হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এইসব দৃঢ়তাপ্রদায়ী ওষুধ পুরুষাঙ্গে সরাসরি ইনজেকশন করে কিংবা হস্তচালিত পাম্পের মাধ্যমে চোঙে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে হয়। ইদানীং ভারতে যেটা বহুল প্রচলিত হয়েছে,তাহল যাঁদের লিঙ্গশৈথিল্য অন্য কোনভাবেই দূর করা যাচ্ছে না, তাঁদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গের দু-পাশে দুটি ইমপ্লান্ট বা ডিভাইস বসিয়ে দেওয়া হয়। ১০ হাজার টাকা খরচ পড়ে এই ইমপ্লান্ট বসাতে। মুম্বইয়ের কিং এডোয়ার্ড হসপিটাল, সিওন হসপিটালে, লীলাবতী হসপিটালে এই ইমপ্লান্ট প্রতিস্থাপন হয়। এদিকে, ব্রিটেনের উইল্টশায়ারের যে কোম্পানি অ্যাপোমরফিনের গুঁড়ো নাকে টানিয়ে যৌনজীবনে সুখ এনে দেওয়ার উদ্যোগে মাতোয়ারা, সেই ভেকচুরা লিমিটেড ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে স্রেফ।
জল কম খেলে
পিপাসা রয়েছে, অথচ জলই খাচ্ছেন না, এমন করবেনই না। কারণ পর্যাপ্ত জল/তরল যদি পান না করা যায় তাহলে মস্তিষ্কে ধূসর পদার্থের আয়তন সঙ্কুচিত হয়ে যায়। চিন্তাশক্তি কাজ করে না পারফরম্যান্স টাল খায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, ধরুন শরীরে জলের চাহিদা তৈরি হয়েছে অনেক আগেই, আপনি দেড় ঘণ্টা ঘামটাম ঝরানোর পর সেই চাহিদা পূরণ করলেন, তখন কী হয় জানেন, ওই যে জলাভাব ঘটেছিল, সেজন্য ব্রেন এক বছরে যতটা সঙ্কুচিত হত, ততটুকু সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছিল দেড়ঘন্টাতেই। কিংস কলেজ লন্ডনের ইন্সটিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির দুই গবেষক ম্যাথু কেম্পটন এবং উলরিশ ইটিংগার জানাচ্ছেন শরীর থেকে যদি ৯০০ মিলিলিটারের মতো ঘাম ঝরে যায় টানা, তাহলে যেটা হয় মস্তিষ্কের কোষগুলো সঙ্কুচিত হয়ে খুলি থেকে আলাদা হয়ে যায়। তবে ভয়ের কিছু নেই, এটা স্থায়ী হয় না। এক গ্লাস/দু-গ্লাস জল খেয়ে নেওয়ার পর ব্রেনের আয়তন ঠিক হয়ে যায়। জার্নাল হিউম্যান ব্রেন ম্যাপিং এ গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা যেন শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল পান করে। না হলে পড়াশোনার ফল খারাপ হবে।