নারী প্রগতি নিয়ে ডুয়ার্সে কর্মশালা; উত্তরবঙ্গ সংবাদ; ১৭ বর্ষ ১৮৩ সংখ্যা শনিবার ৭ অগ্রহায়ণ ১৪০৩
বানারহাট ধর্মশালায় ‘নারী অধিকার ও বর্তমান সমাজ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালার আয়োজন করে ডুয়ার্স এক্সপ্লোরেশন এন্ড অ্যাডভান্সমেন্ট রিভেলী সহযোগিতায় ছিল কলকতার গণ উন্নয়ন পর্ষদ।
কর্মশালার স্বাগত ভাষণে ডিয়ার-এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পার্থপ্রতিম বলেন- ‘নারী স্বাধীনতা ও অধিকারের মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার উপর। এই অঞ্চলে চা শিল্প ছাড়া অন্য কোন শিল্প গড়ে না ওঠার জন্য বহু মহিলা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। মহিলাদের উপযোগী শিল্প গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
গণ উন্নয়ন পর্ষদের সহ-অধিকর্তা বিদ্যুৎ দেবনাথ নারী অধিকার রক্ষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেন। সূদুর অতীত থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত নারীরা কিভাবে শোষিত হচ্ছে তা তুলে ধরেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্থানীয় পঞ্চায়েত, প্রশাসন সকলের মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই নারী প্রগতি সম্ভব। মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের জন্য বিভিন্ন সরকারি যোজনার বিষয় তিনি ব্যাখ্যা করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা ডাঃ অলি দত্ত নারীদের স্বাস্থ্যগত চিত্র তুলে ধরেন। মহিলাদের বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা ও তার প্রতিকারের বিষয়গুলি আলোচনা করেন। তিনি বলেন, শরীর ঘিরে সংস্কার ও প্রাচীন ধ্যান ধারণা নারী সমাজকে পিছিয়ে রেখেছে। অকারণ লজ্জা ও সংকোচ নারীদেহে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ঘটায়।
স্থানীয় শিক্ষিকা ছায়া চক্রবর্তী মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কুটির শিল্প গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন। সংগঠনে মহিলা প্রগতি উপসমিতির সম্পাদিকা সুকন্যা আচার্য বসু ডুয়ার্সে বিভিন্ন কুটির শিল্পের সম্ভাবনা ও পরিকাঠামো উদাহরণের সাহায্যে তুলে ধরেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের মধ্যে কৃষ্ণা নন্দী, অনিতা সিং ভুঁই, গীতা কর, আরতি দাস স্থানীয় মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। এই কর্মশালার শেষ পর্যায়ে মহিলাদের উন্নতিকল্পে প্রাথমিকভাবে কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।