ছিঁড়ে যাচ্ছে

ছিঁড়ে যাচ্ছে

ছিঁড়ে যাচ্ছে-ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৮ অক্টোবর ২০০৫ উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত
বেশ ভালোই ছিলেন, মনোযোগ সহকারে কাজও করছিলেন এমন সময় শুরু হল মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে, এমন তীব্র ব্যথা। মাঝবয়সি এবং প্রবীণরা এ ধরনের ব্যথায় আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তার দেখাবেন। পরামর্শ দিয়ে গেলেন ব্রিটিশ স্নায়ুবিদ প্রফেসর চালর্স ওয়ারলো। এই চিকিৎসাবিজ্ঞানীর কথায়, ব্যথায় ব্যথায় মাথা খন্ডবিখন্ড তথ্য চৌচির হয়ে যাচ্ছে মনে হলে বুঝতে হবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে যা হয় দুর্বল হয়ে পড়ে, রক্ত সংবহন বাধা পায়, শিরা তরঙ্গাকারে ফুলে ওঠে, ফুলতে ফুলতে এক সময় বেলুনের মতো ফুলেফেঁপে ফেটে যায়। দিনের বেলাতেই এ ধরনের রক্তক্ষরণ জনিত মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে ধরনের ব্যথা শুরু হয়। ধাপে ধাপে তীব্রতা বাড়তে থাকে। এ ধরনের ব্যথাকে অবহেলা করা মানে মৃত্যুপথের দিকে রওনা দেওয়া। এক নতুন স্নায়ুরোগের কথা জানাচ্ছেন ব্রিটেনের চিকিৎসক ডাঃ অশোক ভার্মা। রোগটির নাম : মিকিটোকা ক্যানডিউলস ডিজঅর্ডার। প্রথমে মাথাব্যথা, তারপর মৃগী রোগীদের যেমন হয়, সেরকম ঘন ঘন মূর্ছা যাওয়া।  

এবার প্যাক্সিল
প্যাক্সিল। অবসাদ কাটানোর দাওয়াই। গর্ভবতী হওয়ার তিন মাসের মধ্যে যাঁরা এই ওষুধ ব্যবহার করেছেন, তাঁদের সন্তানেরা হার্টের সমস্যা সহ নানা জন্মগত ত্রুটি নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছে, হচ্ছে। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লিনের গর্ভবতীদের জন্য সি ক্যাটেগরির এই ওষুধের জেনেরিক নাম: প্যারোক্সিটিন।

কোলেস্টেরল হাই দুভাবে যুঝুন
লিভারে কোলেস্টেরলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি অন্ত্র যাতে বেশি কোলেস্টেরল শোষণ না করতে পারে, সেই ওষুধও চাই। অর্থাৎ একই সঙ্গে দু-ধরনের ওষুধে চিকিৎসা করতে হবে। ইউরোপের হৃদপিন্ডের রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই এভাবে চিকিৎসা করছেন। হ্যারিস ইনটার অ্যাকটিভের এক সাম্প্রতিক সংখ্যায় এই তথ্য জানা গিয়েছে। ইউরোপের অধিকাংশ কার্ডিওলজিস্টের বক্তব্য, কোলেস্টেরল উৎপাদন এবং কোলেস্টেরল শোষণে নিয়ন্ত্রণ, যাকে আমরা ডুয়াল ইনহিবিশন থেরাপি তথা একইসঙ্গে দু ধরনের মস্তানি বন্ধ করা বলি, সেটাই অনেক বেশি কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। আমস্টারডমের রক্তনালির চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জন ক্যাসটিলিন জানাচ্ছেন, কোলেস্টরলের বাড়াবাড়ি রুখতে যকৃতে  কোলেস্টেরল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণই একমাত্র চিকিৎসা হতে পারে না, কারণ এতে মাত্র ত্রিশ শতাংশের মতো বাজে কোলেস্টেরলের উৎপাত থেকে সুরক্ষা মেলে।

অস্ত্রোপচারেই সারে
থাইরয়েড ক্যানসার মানেই মৃত্যু নয়। কারণ, থাইরয়েড ক্যানসার পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যায়। আগেই ধরা পড়ুক কিংবা পরে, থাইরয়েড ক্যানসারের রোগীর ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে মেরে নিশ্চিহ্ন করা যায়। এমনকী ক্যানসার যদি ফুসফুসে, হাড়ে ছড়িয়েও গিয়ে থাকে, তাও এই রেডিওঅ্যাকটিভ আয়োডিনেই নিশ্চিহ্ন করা যায়। জানাচ্ছেন, ডাঃ বিশ্বনারায়ণ মোহান্তি। কটকের এস সি বি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষামূলক অস্ত্রোপচার বিভাগের প্রধান তিনি।
 

Join our mailing list Never miss an update