হোমিওপ্যাথিও পারে

হোমিওপ্যাথিও পারে

হোমিওপ্যাথিও পারে- ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৪ নভেম্বর ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত
বয়স ২৭। বাস ড্রাইভার। গুটখা-য় আসক্তি এতটাই হয়ে গেছে দিনে ৭ থেকে ১০ প্যাকেট খেয়ে ফেলছি। মাঝে মাঝেই দাঁত ব্যথা হয়। শুনেছি গুটখা খেলে ক্যানসারও হয়। রবি বসাক।
    গুটখা, শিখর সহ এ জাতীয় যা কিছু তামাকসমৃদ্ধ নেশাদ্রব্য রয়েছে, সেসব থেকে মুখের ক্যানসার হওয়ার আশংকাই বেশি থাকে। ট্যাবাকুম টু হানড্রেড, দিনে দু-বার। অসহ্য দাঁত ব্যথা হলে দুঘন্টা পর পর খেয়ে যেতে হবে।


বয়স ৩২। ফের অ্যাকনের জ্বালাতন শুরু হয়েছে। ব্যথা করে খুব। বাবলি সূত্রধর।
হেপার সালফ টু হানড্রেড এবং আর্সেনিকাম অ্যালবাম টু হানড্রেড একসঙ্গে খান দিনে দু-বার করে। শুধু অ্যাকনেই দূর হবে না, অ্যাকনেঘটিত দাগটাগও উবে যাবে।

সাড়ে চার মাসের বাচ্চা। ছেলে। সবসময় নাক দিয়ে জল পড়ে। কফ থাকে। কফের কষ্ট বুঝি, বুকে ঘরঘর শব্দ হয়। একটুতেই ঠান্ডা লেগে, বসে যায়। হাঁচি দেয়। কী যে করি? শুল্কা হাজরা।
প্রথমে দিন আর্সেনিকাম অ্যালবাম সিক্স, তিনঘন্টা বাদে খাওয়ান লাইকোপোডিয়াম ক্ল্যাভাট থারটি। এর ঠিক তিন ঘন্টা বাদে ফের প্রথম ওষুধটি, তার তিন ঘন্টা বাদে আবার দ্বিতীয় ওষুধটি। এভাবে খাইয়ে যান। কফ কষ্টের মোকাবিলা করতে এক্ষুণি দিন ইপিকাকুআনহা থারটি। কফ কষ্ট বুঝতেই ফের এই ওষুধটি একবার খাইয়ে দেবেন। যেহেতু একদমই শিশু, তাই বলব এই ওষুধ দেওয়ার আগে একজন চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন।
   
দীর্ঘদিন, তাও দশ বছর তো হয়েই গেল। অ্যাজমা তথা হাঁপানির ভোগান্তি ভুগে চলেছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, এইভাবে যন্ত্রণা বহন করার চেয়ে মরণই ভালো। বয়স ৩২। তৃপ্তি রায়।
ক্যালকেরিয়া কার্ব থারটি দিনে একবার করে খেয়ে যান। পাশাপাশি খেয়ে যেতে হবে ইপিকাকুআনহা থারটি দিনে দুবার। যখন শ্বাসকষ্টের তীব্রতা ব্যাপক হবে, তখন ইপিকাকুআনহা থারটি এক ঘন্টা পর পর খেয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, নিয়ম করে সময় ধরে। সপ্তাহে দু থেকে তিনবার অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন ২০ ৩০ মিনিট করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে সকালের রোদে কাটান।

বয়স ৩৫। মাসে দু-তিনবার করে রক্তস্রাব হয়। রক্তাপ্লতায় ভুগছি। কী করব? গোপা সেনমল্লিক।
হরমোনজনিত সমস্যার জেরে মাসে দু-তিনবার করে ঋতুস্রাবের ঘটনা ঘটছে, রক্তপাত হচ্ছে। চায়না অফ, থ্রি এক্স দিনে দুবার করে খান। আরনিকা মনটানা থ্রিও দিনে দুবার করেই খান। সিপিয়া টু হানড্রেড খান সপ্তাহে দু-বার দুদিন সকালবেলায়। তিনটি মাসিক পর্ব পর্যন্ত এভাবে খেয়ে দেখুন।

বয়স ৪৫। হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছি। আমাকে বাঁচান। দেবারতি রায়।
পুরোনো কোনো চোট, আঘাতের জেরে এই ব্যথা হতে পারে, আবার অস্টিও-আর্থারাইটিসের কারণেও হতে পারে। সিমফাইটাম টু হানড্রেড দিনে দু-বার করে খান। সঙ্গে আর্নিকা মনটানা টু হানড্রেডও দুবার করে খেয়ে যান। দু-মাস খেয়ে দেখুন।

আপেল স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চান, মাঝেমধ্যেই আপেল খান। পারলে প্রতিদিন মাঝারি সাইজের একটা করে আপেল খেয়ে যান। আপেল বা আপেলের রস যে কাজটা করে, তাহল মস্তিষ্কের মধ্যে নিউরোট্রান্সমিটার অ্যাসিটাইলকোলিন নামে রাসায়নিকের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে স্নায়ু কোষ থেকে স্নায়ু কোষে বার্তা বহনের কাজ করে এই অ্যাসিটাইলকোলিন। শুধু স্মৃতিশক্তি বাড়াতেই নয় বা স্রেফ মস্তিষ্কের জন্য অত্যাবশকীয় বলেই নয়, অ্যাসিটাইলকোলিন সামগ্রিকভাবে পুরো শরীরের জন্য ভালো।

 

Join our mailing list Never miss an update