চোখের জন্য

চোখের জন্য

চোখের জন্য-ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৩১ অক্টোবর ২০০৯; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
দূরের জিনিস ঝাপসা দেখে যে ছেলেমেয়েরা তারা যদি রাতে চোখে কনটাক্ট লেন্স পরে ঘুমোয়, তাহলে তাদের চোখের ব্যাপক শুশ্রুষা হতে পারে। যে নেত্রগোলকের বিকৃতির কারণে ঝাপসা লাগে, সেই বিকৃতি দূর হয়ে নেত্রগোলক স্বাভাবিক আকৃতি নিতে পারে। দৃষ্টিশক্তি যাদের স্বাভাবিক, সেসব ছেলেমেয়ের ক্ষেত্রে সেটা হয়, কর্নিয়া দিয়ে আলোকরশ্মি ঢুকে চোখের পিছনে রেটিনায় গিয়ে ধাক্কা মারে, ছবি তৈরির সংকেত সৃষ্টি করে, ব্রেনে পাঠিয়ে দেয়। আর যেসব ছেলেমেয়ের কর্নিয়া বেশি বাঁকানো কিংবা নেত্রগোলক অতিলম্বা, সেসব ক্ষেত্রে যেটা হয়, আলোকরশ্মি সরাসরি রেটিনা ভেদ করে ঢুকতে পারে না। দূরের জিনিস ফোকাস হয় রেটিনার সামনে। ফলে সেই দৃশ্য বা কোনো বস্তুর ছবি ঝাপসা লাগে। ওভারনাইট লেন্স নামে কনটাক্ট লেন্স রাতভর চোখে থাকলে কর্নিয়ার বক্রাকৃতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসে। নেত্রগোলক তথা আইবল-ও খর্বাকৃতি পায়। উল্লেখ্য, ওভারনাইট লেন্স, দিনের বেলা যে লেন্স ব্যবহার করা হয়, তার চেয়ে একটু শক্ত ধরনের । দাঁতের ক্ষেত্রে ডেন্টাল ব্রেস যেভাবে কাজ করে, রাতে কনটাক্ট লেন্সও চোখের ক্ষেত্রে সেরকম কাজই করে। দূরের দৃষ্টি আরও ঝাপসা দেখার মতো অবস্থায় নিয়ে যেতে দেয় না। আমেরিকার গবেষক-বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওভারনাইট লেন্সে বড়োরা তো উপকৃত হনই, ছোটোরা উপকৃত হয় আরও বেশি। চোখের তখনও বৃদ্ধি ঘটতে থাকে বলে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা?
ফ্লু-ই হোক আর ইনফ্লুয়েঞ্জা। ভাইরাসের অত্যাচারে কাবু হয়ে পড়বেন না, যদি টানা ৪ বা ৫ দিন দু-গ্লাস করে বেদানার রস খেয়ে যান। প্রতিদিন। রস না করে বেদানা যখন খাবেন, তখন বীজসহ চিবিয়ে খেতে হবে। কারণ, বিচি বা বীজের মধ্যে থাকে পিউনিক্যালাগিন নামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ভাইরাসদের দ্রুতহারে সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটা আটকায় পিউনিক্যালাগিন। ভাইরাসদের ছড়িয়েও পড়তে দেয় না। ইজরায়েলের হিল্লেল ইয়াক্কি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা জানিয়েছেন, ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের স্থায়ী ক্ষতি হওয়া আটকায় বেদানার রস।

মুটিয়ে যাচ্ছেন?
মুটিয়ে গেছেন? হয়তো জানেনই না ডায়াবেটিক হতে চলেছেন। ওজন কমাবে, গ্লুকোজ পরিপাক নিয়ন্ত্রণে রাখবে, ব্লাড প্রেসার কমাবে এমন ইনজেকশন তৈরি। বাজারেও এসে গেছে। গোত্র নামঃ লিরাগ্লুটাইড। ব্রিটেনের বাজারে ভিক্টোজা নামে জুলাই থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। ১.২ মিলিগ্রাম থেকে তিন মিলিগ্রামের ডোজ। চিকিৎসক পরামর্শপত্রে লিখলে তবেই মিলবে। একদম কম ডোজেও পাঁচ মাসে ওজন কমবে ৪.৮ কিলো। বেশি ডোজে ৭.২ কিলো কমবে। দিনে একবারই নিতে হবে এই ইনজেকশন। ওরলিস্ট্যাট পিল যা দিনে তিনবার করে খেতে হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী লিরাগ্লুটাইড। প্রি-ডায়াবেটিককে পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিকে পরিণত হতে দেয় না এই লিরাগ্লুটাইড। এই ইনজেকশন নেওয়ার পর কারও কারও ক্ষেত্রে বমনেচ্ছা জাগে, বমি হয়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

Join our mailing list Never miss an update