সোনামনি ঠিকমতো বাড়ছে তো?; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১ এপ্রিল ২০০৭ রবিবারের সাময়িকী ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
শৈশব থেকে যারা একটু পিছিয়ে থাকে তাদের বিশেষ যত্ন-আত্তি, দেখভালের প্রয়োজন। দরকার বিশেষ প্রশিক্ষণের। তাই আপনার সোনামনির জীবনের শুরুটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা জেনে নিতে হবে।
সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর বয়স ৬ সপ্তাহ হলেই সে অল্প অল্প মানে মিটিমিটি হাসবে।
বয়স যখন ৩ মাস হবে তখন শোওয়া অবস্থায় সে তার মাথা ও কাঁধ বিছানা থেকে ওঠানোর চেষ্টা করবে।
বয়স ৬ মাস হলে সে নিজে থেকে পাশ ফিরে উপুর হতে পারবে।
৭ মাস বয়সের শিশুকে বসিয়ে দিলে সে কিছুক্ষণের জন্য বসে থাকবে, তারপর কাত হয়ে সামনে-পেছনে বা যে কোনো পাশে গড়িয়ে পড়বে।
বয়স যখন ৭ মাস তখন সে মুখ নাড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের শব্দ করবে যার অর্থ হয়তো সে নিজেও জানে না।
৮ মাস বয়সের শিশু চেষ্টা করে চামচের সাহায্যে মুখে খাবার বা সে ধরনের কিছু তোলার।
৮ মাসের শিশু কোনো সাহয্য ছাড়াই বসতে পারবে।
বয়স ১ বছর হলে সে মা-বাবা এই ডাকগুলি দিতে থাকবে এবং যার অর্থ যে নিজে বোঝে।
১ বছর বয়সি শিশু কারো সাহায্য অল্প সময়ের জন্য দাঁড়াবে।
শিশুর বয়স ১৫ মাস হলে কারো সাহায্য ছাড়াই তার হাঁটা উচিত।
১৮ মাসের শিশু ছোটোখাটো নির্দেশ যেমন এদিকে এসো, ওদিকে যাও, হাত তোলো, মুখ খোলো এই সব নির্দেশ বুঝতে পারবে।
২০ মাসের শিশু তার প্রস্রাব, পায়খানা এইসব ব্যাপারগুলি প্রকাশ করতে পারে।
২ বছরের শিশু আমি ভাত খাব, এদিকে এসো, আমি যাব এই কথাগুলো বলবে।
২ বছরের শিশু দিনের বেলায় জেগে থাকা অবস্থায় পায়খানা, প্রস্রাব এই বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
শিশুর বয়স ৩ বছর হলে রাতে বিছানায় প্রস্রাব না করাই উচিত।
৪ বছরের শিশু অভিভাবকের সামান্য সাহায্য নিয়ে নিজের জামা কাপড় খোলা ও পরার কাজটি করতে পারে।
৫ বছরের বয়সি শিশুর ছবি আঁকা উচিত। দেহের বিভিন্ন অংশের আলাদা করে ছবি আঁকাতে পারা উচিত। বিভিন্ন ক্রিয়া যেমন বকাবকি, আদর এইসব বিষয়ে তার সঠিক প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।
যদি আপনার শিশুর কথাবার্তায় বিভিন্ন বিষয় শেখার ক্ষেত্রে বেশি অসংগতি দেখা যায়, সে যদি সব বিষয়ে সঠিক প্রতিক্রিয়া জানাতে না পারে, বয়স অনুসারে যা করা উচিত তার থেকে যদি বেশি পিছিয়ে থাকে, তবে বেশি দেরি না করে শিশু বিশেষজ্ঞ বা চাইল্ড স্পেশালিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।