অফিসে ছোট্ট ঘুম

অফিসে ছোট্ট ঘুম

অফিসে ছোট্ট ঘুম; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৯ এপ্রিল ২০০৮পৃষ্টা- তিন; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
দুপুরে কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নেওয়া। এই ধরুন মিনিট ১৫-২০। এই প্রশান্তির ঘুম আপনার ক্লান্তি দূর করবে, মস্তিষ্কের কাজকর্ম চাঙ্গা করবে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, উইনস্টন চার্চিল, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এরাঁ সবাই এভাবে কাজের ফাঁকে ঘুমিয়ে নিতেন। নাসা-র বিজ্ঞানীদের মতো হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীরাও একমত, ঘুম পরবর্তী অধ্যায়ে উৎপাদনশীলতা তথা কর্মসক্রিয়তা বেগবান হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে তো উৎপাদনশীলতা ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। আর এসব কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই এনার্জি পড। যখন ঘুমোচ্ছেন তখন আলো নেই, গান নেই, এমনভাবে শোওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এতে তাতে হার্ট থাকবে সটান। ১৫ বা ২০ মিনিট ঘুমপর্ব সমাধা হতেই ভাইব্রেশন, লাইট এবং মিউজিক আপনাকে জাগিয়ে তুলে কাজের পৃথিবীতে নিয়ে আসবে। মেট্রো ন্যাপ নামে এক কোম্পানি এই এনার্জি পড তৈরি করেছে। ব্রিটেনের বহু অফিসে এই এনার্জি পড বসানো হয়েছে। প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, গুগল এবং প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারসের মতো সংস্থাগুলি এই এনার্জি পডের পেছনে মাসে ৩০০ পাউন্ড অর্থাৎ ২৪ হাজার টাকা করে খরচ করছে। নির্মাতা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একজন ব্যাঙ্ক ম্যানজারের মাথায় এসেছিল আইডিয়াটা। তিনি দেখতেন, সহকর্মীরা কাজ করতে করতে ক্লান্তিতে বাথরুমে গিয়ে ঘুমিয়ে আসছেন, কোনও র‌্যাকট্যাকের পিছনে গিয়ে বা নিজের জায়গায় টেবিলে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমোচ্ছেন। সেই ব্যাঙ্ক মানেজারের কাছ থেকে আইডিয়াটা মিলতেই মেট্রোন্যাপ এনার্জি পড তৈরির ভাবনা চিন্তা শুরু করে। দু-বছরের গবেষণা শেষে তৈরি হয় এই এনার্জি পড। উল্লেখ্য, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এর আগেই জানা গিয়েছিল, দুপুরে একটা ছোট্ট ঘুম সজাগ থাকার সক্রিয়তা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা করে, সৃষ্টিশীল তৎপরতা বৃদ্ধি পায়, সর্বোপরি মুড ভালো হয়। না, এখানেই শেষ নয়, দুপুরের এই ছোট্ট ঘুমে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, অন্যান্য রোগভোগও কম হয়।

আদিকোষ থেকেই কৃত্রিম শুক্রাণু!
সেদিন সম্ভবত খুব দূরে নয়, যখন সন্তানের জন্ম দিতে পুরুষের দরকার হবে না কিংবা প্রজনন-অক্ষম পুরুষরা কৃত্রিম শুক্রাণুর দৌলতেই বাবা হতে পারবেন। কিংবা পুরুষ সঙ্গীহীন মহিলারাও সন্তানবর্তী হতে পারবেন। জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ গোয়েত্তিনজেনের বিজ্ঞানীরা মনুষ্য শরীরের অবিকশিত ‘আদিকোষ’ ব্যবহার করে শুক্রাণু তৈরি করেন। করার পর ৬৫ টি ইঁদুর-ভ্রুণ তৈরি করেছেন। রসায়নগারে কৃত্রিমভাবে শুক্রাণু-ডিম্বাণু নিষেকের মাধ্যমেই এটা সম্ভব হয়েছে। জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটির হিউম্যান জেনেটিকস বিভাগের ডা. উলফগাং এনজেল। তবে ৬৫ টি ভ্রুণের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পর্যায়ে পৌঁছে ছিল মাত্র ১২ টি। ইঁদুর-সন্তান হিসেবে জন্মানোর পর তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় সাতটির। পাঁচটি বেঁচে রয়েছে। সাতটি মারা গেল, তা অনুসন্ধান করে দেখছেন। পাশাপাশি বোন ম্যারো অর্থাৎ হাড়ের মজ্জা থেকেও শুক্রাণু তৈরির তৎপরতা চালাচ্ছেন।

   

Join our mailing list Never miss an update