ধনেপাতাও অ্যান্টিডায়াবেটিক; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৫ ডিসেম্বর ২০০৭, শনিবাসর; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
ডায়াবেটিকদের জন্য ধনেপাতা কারিপাতা মতোই উপকারি। অ্যান্টিডায়াবেটিক। সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। জানিয়েছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হাইতালকুমার দোশিলি। কারিপাতা এবং ধনেপাতা একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে আরোও ভালো। কারিপাতার মধ্যে ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উপাদান রয়েছে তা অনেক আগেই জানিয়েছিলেন লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা। আমেরিকার সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানিয়েছে, ধনেপাতার মধ্যে কোলেস্টেরল হ্রাসকারী উপাদান রয়েছে। কাঁচা, চাটনি যেভাবেই খান না কেন। ধনেপাতায় জিংক, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, বিভিন্ন ভিটামিন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকে অনেকটা করে। যতটা খুশি খেতে পারেন। বাড়তি ধনেপাতা শরীরের কোনও ক্ষতি করে না, বর্জ্যপদার্থ হিসেবে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন আর্য়ুবেদ অ্যান্ড সিদ্ধার তরফে জানানো হয়েছে, দৃষ্টিশক্তির অস্বচ্ছতা, দুর্বলতা কাটাতে ধনেপাতার রস উপকারী। দুই থেকে তিন টেবিল চামচ ধনেপাতার রসের সঙ্গে এক চা-চামচ বা দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে একবার করে খান।
শিশুদের ক্ষেত্রে দেড় চামচ ধনেপাতার রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিন চোখ ভালো থাকবে। দিনভর কমপিউটারের পর্দায় চোখ থাকে যাঁদের, তাঁদের জন্যও ধনেপাতার রস চাই। বয়স্কদের জন্য তো বটেই। হাঁপানির শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, যক্ষায় ধনেপাতার রস খুবই উপকারী। যাঁদের শরীরে ভিটামিন এ.বি ওয়ান, বি টু, সি এবং আয়রনের ঘাটতি, তাঁদের এক চা-চামচ ধনেপাতার রস এবং সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে চলবে। প্রতিদিন খেতে হবে। হজমের সমস্যা, পেট ফোলাফাঁপার পাশাপাশি পেটে ব্যাথা করে যাঁদের, বমি বমি ভাব আসে, বমি হয়, তাঁদেরও জন্যও এক/ দুই চামচ ধনেপাতার রস দারুন নিদান। মাইগ্রেনে এবং অন্যান্য মাথাব্যাথায় ধনেপাতার রসের প্রলেপ দিতে হয় কপালে। আরাম মেলে।