কোক : সাবধান; উত্তরবঙ্গ সংবাদ; ৭ জুন ২০০৮(তিন)
ডিএনএ ধ্বংস করে এবং ছেলেমেয়েদের হাইপারঅ্যাকটিভ তথা অতি উত্তেজনাপ্রবণ করে তোলে। এই অভিযোগের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ‘ডায়েট কোক’ -এ সোডিয়াম বেনজোয়েট দেওয়া বন্ধ করেছে কোকো-কোলা। ব্রিটেনে। উল্লেখ্য, সোডিয়াম বেনজোয়েট হল অ্যাডিটিভ। যা ই ২১১ নামেও পরিচিত। শুধু ডায়েট কোকই নয়, রেগুলার কোক যেমন ফানটা, স্প্রাইট, ডা. পিপার, ওয়েসিস-এও এই অ্যাডিটিভ অতি মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। শেফিল্ড ইউনির্ভাসিটির অণু জীববিদ্যার প্রফেসর পিটার পাইপার জানিয়েছেন, সোডিয়াম বেনজোয়েটের মাধ্যমে ডিএনএ-র ক্ষতির জেরে সিরোসিস অফ লিভার এবং পারকিনসনস ডিজিজ হতে পারে। সাউদাস্পটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, অন্যান্য অ্যাডিটিভ তথা খাবারে মেশানো রঙের মতোই ছেলেমেয়েদের অতি উত্তেজনাপ্রবণ করে তোলে সোডিয়াম বেনজোয়েট। কোকো-কোলা কোম্পানিই হোক আর অন্য কোনও নরম পানীয় প্রস্তুতকারক, ভারতে ব্যবসারত কোন কোম্পানি কতটা কী অ্যাডিটিভ মেশাচ্ছে তা আমাদের দেশে জানার কোনো উপায় নেই। কেননা, প্যাকেট, কৌটোজাত, বোতলজাত খাবার দাবারে কী কী উপাদান আছে, তা বিশদে লেবেলের গায়ে লিখতেই হবে, সেই আইন এ বছরেও ভারতে চালু না হওয়ারই কথা। এমন ৬ রকম কৃত্রিম খাবার রঞ্জনীকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কেননা, এইসব খাবার রঞ্জনী ছেলেপুলেদের অতি উত্তেজনাপ্রবণ করে। এইসব রঙ হল : সানসেট ইয়েলো (ই ১২২), টারটাজাইন (ই ১০২), পেনসিআয়ু ফোর আর (ই ১০২), কুইনোলাইন ইয়েলো (ই ১০৪), অ্যালুরা রেড এসি (ই ১২৯)।
তিনিই পারেন
অনেকদিন ধরেই খবর আসছিল, সুলতানপুর জেলা হাসপাতালে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। জেলাশাসক বিশাল রাই ছেঁড়া আধময়লা ধুতি পাঞ্জাবি পরে রোগী সেজে এলেন। ডাঃ গুপ্তা তাঁকে বাইরের একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে রক্ত এবং মল পরীক্ষার জন্য লিখে দেন। ওষুধের নাম, দোকানের নাম লিখে দিয়ে সেখান থেকে কিনে নিতে বলেন। জেলাশাসক বিশাল বলেন, আমি গরিব মানুষ, বাইরে থেকে এসব পরীক্ষা করানো, ওষুধ কেনার পয়সা নেই। ডাঃ গুপ্তা এসব শুনে বিশালকে তীব্র কড়কানি দেন। বলেন, বেরিয়ে যান। জেলাশাসক এবার নিজের পরিচয় দিতেই ডাক্তারের চোখমুখ লাল হয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের ডিএম এরপর সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যান। ওইসব ওয়ার্ডের হাল সরজমিনে দেখেন। রোগীদের খাবার দাবার কম দেওয়া, বিছানা অপরিষ্কার রাখা, বাথরুমের জঘন্য অবস্থা, নার্স- ডাক্তারদের ডিউটিতে ফাঁকি, স্টোর থেকে ওষুধ বাইরে বিক্রি করায় ভাঁড়ার শূন্য থাকা সব ধরে ফেলেন তিনি।
আর্থ্রাইটিসের ওষুধ
আর্থ্রাইটিস, তা সে যে ধরনেই বাত হোক না কেন, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুশ্রুষা মিলবে এমন ওষুধ আসছে। আগামি বছরেই সেই ওষুধ টোসিলিজুম্যাব মিলবে। ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নাল-এ জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ লিডসের রুম্যাটোলোজির প্রফেসর (ডাঃ) পল ইমারি। ৬২৫ জন রোগীর উপর পরীক্ষা চালানোর পর রুশ কোম্পানি ওষুধটি তৈরির জন্য লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছে। ভিয়েনার মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জোসেফ স্মোলেন জানিয়েছেন, টোসিলিজুম্যাব প্রয়োগ করে যে ফল পেয়েছেন, তা ব্যাপক আশাব্যঞ্জক।