চলে যাবেন; ডা. পার্থপ্রতিম; ১৪ জুন ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
মেয়ে ডারসি ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৪ সপ্তাহ পার হতেই মায়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। মেরুদন্ডে ক্যানসার। টিউমারটির আকৃতি কমলালেবুর মতো। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, এই ক্যানসারের কারণে ১৮ মাস, বড়োজোর দু-বছর বাঁচবেন তিনি। কেমোথেরাপি শুশ্রুষার জেরে টিউমারটির বাড়বৃদ্ধি আটকানো সম্ভব হয়। এরপর অস্ত্রোপচার করে কেটে বাদ দেওয়া হয়। মেরুদন্ডকে পূর্ববস্থায় আনা গেছে। এখন হুইল চেয়ার ছাড়াই চলাফেরা করতে পারেন ডারসির মা সারা গালি স্টেডম্যান (৩৯)। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর ডান পা কর্মক্ষমতা হারায়। গালি হাঁটেন ক্রাচ দিয়ে। ইতিমধ্যে মেয়ের চতুর্থ জন্মদিন পার হয়েগেছে। ক্যানসার হয়েছে জানার পর থেকে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কত যে ছবি তুলেছেন সারা গালি। বিভিন্ন মুহুর্তের ছবি। সেইসব ছবির সঙ্গে ডারসির জন্মদিনের কার্ড জুড়ে ১১তম, ১৮তম, ২১তম জন্মদিনের উপহার কিনে রেখে গিয়েছেন। সব তোলা থাকছে মেমোরি বক্সে। তৃতীয় জন্মদিন পার হতেই গালি মেয়েকে জানিয়ে রেখেছেন, আমি খুব শিগগিরই স্বর্গে চলে যাব। মায়ের মুখ থেকে একথা শোনার পর ডারসি বলেছে, আমিও তোমার সঙ্গে যাব। গালি মানা করছেন। বলেছেন স্বর্গে তোমাকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ডারসি মাকে বলেছে, তাহলে যখন আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে যাব, তখন তোমার জন্য অনেকগুলো গোলাপফুল নিয়ে যাব। গালি শুধু মনে মনে জপেছেন, জানি না রে মেয়ে আর কটা দিন তোর সঙ্গে আছি। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে স্তন ক্যানসার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন সারা গালি। ডারসি গর্ভে আসার পর গর্ভাবস্থার হরমোন তাঁর শরীরে ক্যানসার ফিরিয়ে আনে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্যানসার ধরা পড়ার পর মেয়েকে জড়িয়ে গালি।
অন্ধ হয়ে যাবে
তিন বছরের বাচ্চা। ক্যানসারে ভুগছে। দু-চোখ এবং দু-কানের পেছন দিকটায় ক্যানসার হয়েছে ছেলে জেমি ল্যাসের। রেডিওথেরাপির মাধ্যমে এই ক্যানসারের শুশ্রুষা করতে হলে ছেলে অন্ধ হয়ে যাবে। ডাক্তাররা এ ব্যাপারে মায়ের মতও জানতে চেয়েছিলেন। জেমির পঁচিশ বছর বয়সি মা জেনাইনি জানিয় দিয়েছিলেন, অন্ধ হবে হোক, তবু বেঁচে থাকুক। গত অক্টোবরে ফ্লু হলে যেমন হয়, তেমন সব উপসর্গে ভুগতে শুরু করেছিলেন জেমি। কিন্তু রোগমুক্তি ঘটছিল না। দু মাস বাদে ধরা পড়ে ‘র্যাবডোমায়োসারকোম’ ক্যনসারে ভুগছে সে। কেমোথেরাপি চলতে থাকে। দফায় দফায় কেমোথেরাপি চালিয়েও ক্যানসার মুক্ত করা যাচ্ছিলনা তার। কেমোথেরাপির জেরে জেমির মাথার চুল সব উঠে যায়্। নটিংহোমের কুইনস মেডিক্যাল সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা জানান, একমাত্র রেডিওথেরাপির মাধ্যমেই জেমিকে ক্যানসার মুক্ত করে তোলা সম্ভব সেক্ষেত্রেও ক্যানসার সেরে ওঠার সম্ভবনা মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে জেমির দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশা ১০০ শতাংশ। যে ছেলে পড়তে এত ভালোবাসে, সেই ছেলেই একদিন সকালে উঠে বলবে, মা আমি তোমাকেও যে দেখতে পাচ্ছি না। জেনাইনি তাঁর ছেলের অন্ধ হয়ে যাওয়াটাই এভাবে মানসচক্ষে উপলদ্ধি করতেও রেডিওথেরাপিতে রাজি হয়েছেন। দু-মাস বাদে রেডিওথেরাপি শুরু হবে। তার আগে জিমিকে কপ্টারে করে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হবে। লিমুজিনে চড়ানো হবে। ওর প্রিয় সব বইপত্র দেখানো-পড়ানো, সিনেমা দেখানো সব হবে।
ধূমপায়ীরা খান
ধূমপায়ীরা খান
ধূমপায়ীরা যদি ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে চান, নিয়মিত ফল-সবজি দিনে অন্তত তিনবার করে খান। গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি খান। ফল, সবজি এবং চায়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড টিউমার হওয়া আটকায়।