অন্য জেহাদ; ২৪ ডিসেম্বর ২০০২ মঙ্গলবার পৃষ্ঠা ১১; আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত
জাতি-ধর্ম-বর্ণবাদের বিরুদ্ধে এটাই তাঁর জেহাদ। ডাঃ পার্থপ্রতিম নামেই তিনি নিজের পরিচয় দেন। কৈশোর থেকেই বিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বহুবার অংশ নিয়েছেন পূর্ব ভারতীয় ও সর্বভারতীয় বিজ্ঞান শিবিরে। রাষ্ট্রপতি প্রশংসাও পেয়েছেন।
পেশায় চিকিৎসক। নেশায় অভিজ্ঞ মালি, ফটোগ্রাফার, শিল্পীও। তাঁর স্কেচ ও ছবি ছেপেছে বিভিন্ন পত্রিকা। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ। ভালই তাল মেলাতে পারেন তবলা-খোলে। অংশ নিয়েছেন আকাশবাণীর অনুষ্ঠানে। সম্পাদনা করেছেন পত্রিকা। পার্থপ্রতিমের লেখা হৃদরোগ সংক্রান্ত বই ‘হৃদয়ের কথা’ প্রকাশিত হয়েছে। আবার কম্পিউটারে তৈরি করেন সুন্দর সুন্দর স্লাইড, দূরবিনে চোখ রেখে রাতভর দেখেন অরুন্ধতী, স্বাতী-সপ্তর্ষির খেলা।
ঝুলিতে পুরেছেন এন সি ই আর টি-র মেধা পুরস্কার, জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ দফতরের ‘ক্রিয়েটিভ অ্যাওয়ার্ড’, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বিজ্ঞান পুরস্কার।
এই মানুষটি বর্তমানে বেছে নিয়েছেন ‘আকাশ’কে। চিকিৎসক জীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে তিনি ছুটে যান গ্রাম-গঞ্জে, স্কুল-ক্লাবে। কখনও ভয়েজার-২ মহাকাশ যানে করে নিয়ে যাবেন শনির বলয়ের একদম কাছে, নেপচুনের উপগ্রহ টাইটনে, কখনও মহাশূন্যে দাঁড়িয়ে দেখবেন আমাদের মমতাময়ী মাটির পৃথিবীকে, আরও বহু কিছু। সঙ্গে থাকে আকাশ বিষয়ক গান ও আবহসঙ্গীত আর পার্থপ্রতিমের সুললিত ভাষ্য।
পার্থপ্রতিমের ভাষায়, ‘‘আকাশের বিশালতা ধ্বংস করতে পারে আমাদের মনের কোণের সব দীনতা, মলিনতা, লোভ-লালসাকে।’’ তাই আকাশকে হাতিয়ার করে তিনি খুন করতে চান সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ, আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতাকে। সকলকে শোনাতে চান বিশ্ব প্রাণের স্পন্দন।