সেই ৪ কন্যা

12 Jun 2020 Health & Sc. News সেই ৪ কন্যা

সেই ৪ কন্যা; -ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৯ মে ২০০৭; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত একইসঙ্গে চার সন্তানের জন্মদান! চারজনেরই রক্তের গ্রুপ এক! প্রত্যেকেই মেয়ে। জন্মের সময় ওদের ওজন ছিল ৮২৫ গ্রাম থেকে ৯৮০ গ্রাম। অর্থাৎ কেউই এক কিলোও ছিল না। এরকম অভিন্ন সদৃশাকার বোন বা ভাইদের জন্ম ঘটে ৪০ লাখে একবার। নির্ধারিত সময়ের ১০ সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে জন্ম নিয়েছিল ওরা। ২৯ সপ্তাহ তিনদিনের মাথায় মায়ের পেট কেটে ওদের বের করে আনার কারণ ছিল, মাকে বাঁচানো। মা বমনেচ্ছার জন্য খেতে পারছিলেন না। গর্ভস্থ শিশুগুলি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছিল না। শিশুগুলিকে পূর্ণ সময় গর্ভে রাখলে উচ্চ রক্ত চাপ, অ্যানিমিয়া, ডায়াবেটিস, সংক্রমণজনিত ভোগান্তি, শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস অনেক কিছুই ওদের হতে পারত। আর কিছুদিন গর্ভে থাকলে শিশুদের সঙ্গে মায়েরও এসব রোগ-ভোগান্তি হয়ে মৃত্যু হতে পারত। সেদিন ২৬ বছর বয়সে চার কন্যার মা হয়েছিলেন যিনি, সেই শ্রুতি বিবেকানন্দন পেশায় সফটওয়ার বিশেষজ্ঞ। শ্রুতির স্বামী বিবেকানন্দ ইঞ্জিনিয়ার। শ্রুতি জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থার তিনমাসের মাথায় জেনেছিলাম, একসঙ্গে তিন সন্তানে...

continue reading →

স্রেফ বিস্কুট খেয়েই

12 Jun 2020 Health & Sc. News স্রেফ বিস্কুট খেয়েই

স্রেফ বিস্কুট খেয়েই; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৯ মার্চ ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত পেশায় শেফ তিনি। নামি রেস্তোরাঁর পাচক। কতরকম জিভে জল আনা পদই না তৈরি করেন। কিন্তু ওইসব খাবার খাওয়া মানা তাঁর। শুধু খাওয়াই মানা নয়, রান্নার গন্ধে জিভে জল আসাও চলবে না। কেননা এইসব খাবার দাবার খাওয়ার কথা ভাবলেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ফলে, রন্ধন ও পুষ্টি বিষয়ে পড়াশোনা করে শেফ হওয়া এই মানুষটি যা কিছু রাঁধেন, তাঁর স্বাদগন্ধ কেমন হয়েছে তা টেস্ট করান অন্য কাউকে দিয়ে। রান্না করছেন, কিন্তু স্বাদগন্ধ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারছেন, এই বিদ্যে তাঁকে রপ্ত করতে হয়েছে মনস্তত্ত্ববিদ এবং পুষ্টিবিদদের সাহায্য নিয়ে। ব্রিটেনের ডারহাম কাউন্টির শোটলি ব্রিজের সেল পেপে রেস্টুরেন্টের পাচক কী কী খান তবে? পাচক অ্যানডু ফরস্টার নিজেই জানাচ্ছেন, দিনে বড়ো দুই প্যাকেট বিস্কুট হলেই সেদিনের খাওয়া হয়ে যায়। ফিনফিনে মুচমুচে মিষ্টি বিস্কুট ‘ওয়েফার’ থেকে শুরু করে নানা ধরনের  বিস্কুট খান। অ্যানড্রু জানিয়েছেন, তাঁর বয়স যখন দুই বছর, তখন থেকেই স্রেফ বিস্কুট খেয়ে বেঁচে থাকা। ...

continue reading →

ছিল ৫৫০ গ্রাম

12 Jun 2020 Health & Sc. News ছিল ৫৫০ গ্রাম

ছিল ৫৫০ গ্রাম; -ডাঃ পার্থপ্রতিম;২৭ ডিসেম্বর ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত গর্ভে মেয়ে তখন মাত্র ২৫ সপ্তাহের। ওজন সাড়ে পাঁচশো গ্রামের মতো। মায়ের প্রসব বেদনা উঠে যায়। ২৯ বছর বয়সি মা অ্যাঞ্জেলা ইয়ংয়ের গর্ভাশয়ে স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া হয় মেয়ের ফুসফুসের বাড়বৃদ্ধি বজায় রাখতে। পরদিন এম্মা নামের মেয়ের জন্ম দেন অ্যাঞ্জেলা। কম ওজনের জন্য জন্মের পরই এম্মাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এম্মার না জুড়ে যাওয়া হার্টের ত্রুটি মেরামতের জন্য ৬ সপ্তাহের মাথায় অস্ত্রোপচার করতে হয়। অস্ত্রোপচার সফল হলেও এম্মার শরীরে নতুন ধরনের ভোগান্তি শুরু হয়। ঘন ঘন দম বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। দিনে ১২-১৬-১৮ বার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। অ্যাঞ্জেলাই আবিষ্কার করেন, পায়ের নীচে টোকা মারলেই ফের শ্বাস নিতে শুরু করছে এম্মা, টোকা মারতেই ধড়ফড় করে উঠছে এম্মার বুক। এরপর কখনও নার্সরা, কখনও অ্যাঞ্জেলা এম্মার পায়ের নীচে টোকা মেরে মেরে ওর শ্বাসপ্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে গেছেন। ১৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ওভাবেই শ্বাসক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। এরপর অবশ্য সেই সমস্যা দূর হয়ে গ...

continue reading →

মেদ কমাতে লাইপোসাকশন

10 Jun 2020 Health মেদ কমাতে লাইপোসাকশন

মেদ কমাতে লাইপোসাকশন; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ৭ আগস্ট ২০০৪; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সবে আসর জমে উঠেছে। শ্রীমতি জ্যোৎস্না পাল তাঁর সুরেলা কন্ঠে গান ধরেছেন- চলো না দীঘার সৈকত ছেড়ে ঝাউবনের ছায়ায়....। হঠাৎই বিকট চিৎকার - হেল্প হেল্প। ঘাড় ঘুড়িয়ে সবাই মিসেস রায়ের দিকে তাকিয়ে। পঁচানব্বই কেজি ওজনের স্থূলকায়া মিসেস রায় বসেছিলেন হাতলওয়ালা কেদারায়। ওঠার সময় লক্ষ্য করলেন হাতল দুটি প্রবলভাবে আটকে গেছে তাঁর সুবিপুল নিতম্বে। তাই এই আর্তনাদ। মিস্টার অতীন রায় নিদাম চা বাগিচার ম্যানেজার। কোম্পানির খরচে বাংলোতে দশ-বারোটি নোকর-চাকর। মালি, বাবুর্চি, খানসামা। শ্রীমতি রায়ের মূল কাজ হলো কেবলে বিদেশি চ্যানেল লাগিয়ে টিভি-র সামনে বসে থাকা। মোবাইলে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা মেয়েলী গল্প করা, এটা সেটা হুকুম করা। টুকটাক মুখ চালানো। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। দিনের পর দিন শরীরের গিরি- উপত্যকায় ভিড় বাড়াচ্ছে স্নেহ নামক বিষম বস্তু।     যাঁদের দেহে স্নেহ বা মেদ বেড়েই চলছে, কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না তাঁদের দিকে হাত বাড়ি...

continue reading →

Join our mailing list Never miss an update