হাতের কাছেই হোমিওপ্যাথি (সর্দি-জ্বর)

15 Jun 2020 Homeopathy হাতের কাছেই হোমিওপ্যাথি (সর্দি-জ্বর)

হাতের কাছেই হোমিওপ্যাথি সর্দি-জ্বর; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৪ নভেম্বর ২০০৯; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত শীত আসছে। ঘাসের আগায় শিশিরবিন্দু। দিনের বেলায় গরম, সূর্যডোবার পর ঠান্ডা নেমে আসে। সর্দি-কাশি-নাক দিয়ে জল পড়া এসব উপসর্গের এখন বাড়বাড়ন্ত। প্রথমে নাক, মাথায় ও বুকে সর্দির লক্ষণ প্রকাশ পায়। জ্বর-জ্বরভাব, নাক দিয়ে জলের মতো সর্দি ঝরে। মুখ-চোখ ভার, গা-হাত-পা ব্যথা, হাঁচি, চোখ দিয়ে জল পড়া, মাথাধরা, মাথা-কামড়ানি, কাশি, স্বরভাঙা আরও কত কিছু। মূলত শিশুদের মধ্যেই এই অসুবিধাগুলি বেশি দেখা যায়। এইসব সমস্যার মোকাবিলার জন্য সহজেই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। ওষুধের দাম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের তুলনায় অনেক কম। লক্ষণ অনুসারে ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়।     এবার কয়েকটি হোমিও ওষুধের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা যাক।     জ্বরের সঙ্গে ঠান্ডাবোধ, অস্থিরতা, ছটফটানি, জলপানের তৃষ্ণা ও হাঁচি এসব লক্ষণে অ্যাকোনাইট ন্যাপ ৩ এক্স বা ৩০ শক্তি চার-পাঁচ ঘন্টা পরপর খেলে রোগী বেশ আরাম পায়। বিশেষত রোগের প্রথম অবস...

continue reading →

হাতের কাছেই হোমিওপ্যাথি- আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি

15 Jun 2020 Homeopathy হাতের কাছেই হোমিওপ্যাথি- আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি

হাতের কাছেই হোমিওপ্যাথি আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১২ ডিসেম্বর ২০০৯; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত মুখ থেকে শুরু হওয়া আমাদের পৌষ্টিকনালি বৃহৎ অন্ত্র হয়ে শেষ হয় পায়ুদ্বারে। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির বৃহৎ অন্ত্র বা লার্জ ইন্টেসটাইন ১.৫ থেকে ১.৮ মিটার লম্বা। খাদ্যবস্তুর শেষ অবশেষ এখানে ১৫ থেকে ১৮ ঘন্টা থাকে। বৃহৎ অন্ত্রের শেষ অংশটি হল রেক্টাম তথা পায়ু। রেক্টামের দেয়ালে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বা মিউকাস মেমব্রেন থাকে। এই মেমব্রেন থেকে শ্লেষ্মা তথা আম নির্গত হয়। বৃহৎ অন্ত্রের মিউকাস মেমব্রেনে জীবাণুর আক্রমণ হলে আমাশা বা ডিসেন্ট্রি দেখা দেয়। আমাদের দেশে মোটামুটি তিন ধরনের আমাশা দেখা যায়- ১)ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি :- এটা সিজিলা ব্যাসিলাস নামের এক জীবাণুর আক্রমণে হয়ে থাকে। দিনে রাতে প্রায় ৩০-৪০ বার পায়খানা হয়। মলের সাথে আম ও রক্ত থাকে। সঙ্গে থাকে জ্বর, নাভির কাছে প্রচন্ড ব্যাথা, কখনো কখনো বমি করে। এই ধরণের আমাশা খুব মারাত্মক আকার নেয়। মল পরীক্ষা করলে সিগা ব্যাসিলাই পাওয়া যায়। এধরণের রোগীকে অনেক ক্ষেত্রেই ইন্ট্রাভেনাস ড্রিপ দিতে ...

continue reading →

চিন পারে, আমরা পারি না

15 Jun 2020 Health & Sc. News চিন পারে, আমরা পারি না

চিন পারে, আমরা পারি না; -ডাঃ পার্থপ্রতিম;৭ জুলাই ২০০৭;উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত উত্তরবঙ্গ সংবাদ  দেশের তাবৎ কৃষিজীবীদের জন্য সুলভ চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়ে গেল চিনে। কৃষকদের চিকিৎসা খরচের অর্ধেক বহন করছে সরকার। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগে কোনো অসুস্থ কৃষক বা তার পরিবারের কাউকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কাছাকাছি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হলে, সেই পরিবারকে একটা শূকর বিক্রি করে অ্যাম্বুলেন্স খরচ মেটাতে হতো। আর কেউ যদি কিছুদিন হাসপাতালে শয্যাশায়ী থাকতেন, তাহলে কৃষিখামার থেকে এক বছরে যা আয় হতো, তাঁর সবটাই চিকিৎসার জন্য খরচ হয়ে যেত। আর গুরুতর রোগভোগে ১০ বছরের সঞ্চয়-ভাঁড়ার খালি হয়ে যেত। এখন আর তা হচ্ছে না। যে চিকিৎসা বিমা চালু হয়েছে, তাতে একজন বিমাকারী কৃষক ৫৫ টাকা দিলে, সরকার দেবে আরো ৫৫ টাকা। যেসব চিকিৎসার জন্য পঁচাশি হাজার  টাকা পর্যন্ত  খরচ হবে, তার ৩০ শতাংশ স্থানীয় প্রশাসন মিটিয়ে দেবে। তার ওপরে, ২ লাখ  ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হলে ৪৫ শতাংশ দেবে সরকার। যাঁদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারও বেশি খরচ হবে, যে টাকা খরচ হবে, তার অর্ধেক দেবে সর...

continue reading →

ব্রান্ডিতে বেঁচে....

12 Jun 2020 Health & Sc. News ব্রান্ডিতে বেঁচে....

ব্রান্ডিতে বেঁচে.... ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১ মার্চ ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত জন্মের পর ব্রান্ডি আর গ্লুকোজ খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়েছিল ওদের। সেই যমজ ভাই ষাটতম জন্মদিন জন্মস্থান ঘুরিয়ে দেখালেন তাঁদের স্ত্রীদের। ওদের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারি। ব্যাপক তুষারপাত ঘটেছিল সেদিন। এসেকসের রাস্তায় দু-ফুট উঁচু হয়ে বরফ জমেছিল। ওদের মা এনিড ওয়েস্ট বাজার সেরে সেই বরফের উপর দিয়ে ছেঁটে বাড়ি ফিরেছিলেন। এনিড তখন ৮ মাসের গর্ভবতী। বাড়ি ফেরার পথেই প্রসব বেদনা উঠে গিয়েছিল। ওই বরফাবৃত পথে এনিডকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সায় দিতে পারেননি চিকিৎসক। এনিডের স্বামী ভিক্টরও চাপাচাপি করেননি। বাড়িতেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল ওরা। প্রথমে বিল। তার ১৫ মিনিট খোদ মাকেই অবাক করে দিয়ে ভূমিষ্ঠ হয় পিটার। জন্মের সময় ওদের ওজন ছিল যথাক্রমে ১ কিলো ৭০০ এবং ১ কিলো ২৫০ গ্রাম। তখন বাড়ি বলতে এসেকসের কোলেচেস্টারের সেনা ছাউনি। ক্যাভালরি ব্যারাক। সেই বাড়িতেই অকালপ্রসূত শিশুদের লালনের জন্য ইনকিউবেটর বানিয়ে নিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু। পিটার ওয়েস্ট ...

continue reading →

Join our mailing list Never miss an update