আমে যৌন উদ্দীপনা বাড়ে; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৩ মে ২০০৮ তিন শনিবাসর; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
আমে ম্যাগনেফারিন, কাটিছোল অক্সিজেন এবং ল্যাকটেস উৎসেচক থাকে। এরা হজমে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে। আমে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, তাই আম উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন যাঁরা, তাঁদের জন্য ভালো। আমে থাকে ৪ টি বিশ্ব স্বীকৃত অ্যান্টিঅক্সিজ্যান্ট। সেগুলি হল: ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম। এরা হার্টের ব্যামো, কানসার , ডায়াবেটিসের ভেগান্তি হওয়া আটকাতে পারে। আম খেলে যৌন উদ্দীপনা বাড়ে। আমে থাকা ট্রিপটোফান সুখ সঞ্চারি সেরোটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। পাকা আমে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। রাতকানা রোগে যারা ভোগে, তাদের জন্য এই ভিটামিন এ খুব জরুরি, কোলেস্টেরলের মাত্রাধিক্য কমে আম খেলে। রক্তাপ্লতার রোগীদের জন্য আম ভালো। আমে আছে ক্যানসার রোধী ফেনল উপাদান, যেমন, কুয়ারসেটেন, আইসোকুয়ার মিট্রিন, অ্যাসট্রাগালিন, ফিসেটিন, গালিফ অ্যাসিড এবং মিথাইল গালাট। পিত্তথলির ক্যানসার রোধ করতে পারে আম। ক্যানসার গ্রস্তদের শুশ্রুষা করে। গরমে কাঁচা আম পোড়া, আম সেদ্ধ শরবত খেতে হয় জিরের গুঁড়ো দিয়ে। দিনে ২-৩ বার খেয়ে গেলে শুধু গরম ভাবই কাটে না, রৌদ্ররোষের ছোবল এড়ানো যায়। কাঁচা আম রক্তবহা নলিগুলোর ইলাসটিসিটি তথা স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে দেয়। নতুন রক্ত কোষ গঠনে সাহায্য করে। আয়রন শোষণের তৎপরতা বাড়িয়ে তোলে। টিবি, অ্যানিমিয়া, কলেরা, আমাশয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে। পাকা আম দুধে মিশিয়ে খেলে চোখের শুকনো ভাব, জ্বলুনি, চুলকানি, রাতকানা রোগে শুশ্রুষা মেলে, সয়াবিনের দুধের সঙ্গে আম নিয়মিত খেলে ওজন কমে। দিনে তিনবার করে টানা একামাস খেতে খেতেই ওজন কমছে বোঝা যায়। কাঁচা আমে থাকা বিভিন্ন অ্যাসিড পিত্তরসের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে অন্ত্র এবং লিভারকে দৃঢ়তা দেয়।
আমচুর তথা রোদে শুকনো কাঁচা আম চিবিয়ে খেলে হজমে সাহায্য হয়। বদ হজমে, ডায়ারিয়া, আমশেয়ে, অর্শে, মনিং সিকনেমে, ক্রনিক ডিসপোপনিয়া তথা ধারাবাহিক অজীর্ণ রোগে আঁটি পুরো গড়ন পায়নি এমন কচি আমের সঙ্গে হলুদ এবং মধু মাখিয়ে জারিত করে খাওয়া উপকারী। পাকাই হোক আর কাঁচা, আমের সুগার শরীর সহজেই আত্মস্থ করে। তাই ডায়াবেটিকদের আম খাওয়ার মানা নেই। বছর দেড়েক আগে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল রিসার্চ কংগ্রেসে এক গবেষক জানিয়েছিলেন, এমন দিন হয়তো খুব কাছেই যখন চিকিৎসকরা ডায়াবেটিক থেকে বাঁচতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাধিক্য কমাতে দিনে একটা করে আম খেতে বলবেন। এই সন্মলনেই আমে মলাশয় এবং স্তন ক্যানসার রোধী, ক্যানসার কোষ ধ্বংশকারী উপাদান রয়েছে জানানো হয়েছিল। আম ত্বকের বন্ধ মুখ খুলে দিয়ে ত্বককে তাজা রাখে। হাঁপানির উপসর্গ উপশম করে আম। ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। মাসিকের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে আম। গ্যাসকষ্টে যাঁরা ভোগেন, বাঁ কষ্টে যাঁরা ভোগেন তাঁদের জন্য পাকা আম উপকারী। আম শরীর থেকে বিষবর্জ্য বার করে। সাত ধাতুর পরিমাণ বাড়ায় রক্ত শোধন করে। ১০০ গ্রাম পাকা আমে বিটা ক্যারোটিন তথা ভিটামিন এ ২৭৪৩ মাইক্রোগ্রাম। ভিটামিন সি ১৬। থিয়ামিন ০.০৮। রাইগোফ্ল্যাভিন ০.০৯। পটাসিয়াম ২০৫। ম্যাগনেসিয়াম ২৭০। সোডিয়াম ২৬০। কপার ০.১১। ম্যাঙ্গানিজ ০.১৩। জিংক ০.২৭। ক্রোনিয়াম ০.০০৬। সালফার ১৭। ক্লোরাইড ৩। অক্সালিক অ্যাসিড ২৬।
Mango Increases sexual stimulation. About this topic Dr. Partha pratim furnished research information on the page of Uttarbanga Sambad a largest circulated daily in North Bengal.